গবেষণা বলছে আমদানি নির্ভরতা দুগ্ধ উৎপাদনের বড় বাধা | সময় সংবাদ - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

বুধবার, জুন ০১, ২০২২

গবেষণা বলছে আমদানি নির্ভরতা দুগ্ধ উৎপাদনের বড় বাধা | সময় সংবাদ

 

গবেষণা বলছে আমদানি নির্ভরতা দুগ্ধ উৎপাদনের বড় বাধা | সময় সংবাদ
 
গবেষণা বলছে আমদানি নির্ভরতা দুগ্ধ উৎপাদনের বড় বাধা | সময় সংবাদ




কৃষি ডেস্ক:


গত এক বছরে গো-খাদ্যের অতিরিক্ত মূল্যবৃদ্ধি এবং আমদানি নির্ভরতা দেশে টেকসই দুগ্ধ উৎপাদনের বড় বাধা বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। একইসঙ্গে এই পরিবর্তনের প্রধান নিয়ামকসমূহ ও বাংলাদেশে টেকসই দুগ্ধ উৎপাদনে করণীয় নিয়েও বিস্তারিত গবেষণায় প্রকাশিত হয়েছে।


বিশ্ব দুগ্ধ দিবস-২০২২ উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ইন্টিগ্রেটেড ডেইরি রিসার্চ নেটওয়ার্কের (আইডিআরএন) নেটওয়ার্ক কো-অর্ডিনেটর ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পশু পুষ্টি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মহি উদ্দিন এসব কথা বলেন।




তিনি বলেন, আইডিআরএন’র গবেষণায় দেখা যায় গত এক বছরে বাংলাদেশে দুধের দাম বেড়েছে গড়ে ১১.৬ শতাংশ। তবে দেশে গো-খাদ্যের দাম বেড়েছে শতকরা ৫৪ শতাংশ আর বিশ্বের বাজারে দাম বেড়েছে ২০.৬ শতাংশ। গত এক বছরে বাংলাদেশে বিশ্ববাজারের তুলনায় ৩০.৯ শতাংশ গো-খাদ্যের দাম বেড়েছে। যেখানে খামারি পর্যায়ে দুধের দাম বেড়েছে ২০ শতাংশ (৪৯.৬ টাকা কেজি থেকে ৫৯.২৮ টাকা কেজি)। আর ভোক্তা পর্যায়ে তা বেড়েছে ২২ শতাংশ (৫৩ টাকা কেজি হতে ৬৪.৫৪ টাকা কেজি)।


আইডিআরএন’র গবেষণায় আরো বলা হয়, গো-খাদ্যের অতিরিক্ত মূল্য বৃদ্ধির ফলেই ভোক্তা পর্যায়ে দুধের মূল্য বৃদ্ধ পেয়েছে। গো-খাদ্য হিসেবে সর্বাধিক ব্যাবহৃত খাদ্য উপাদন হলো গমের ভূষি। গমের ভূষির পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত খাদ্য উপাদান হলো ভুট্টা, সরিষার খৈল, ধানের কুড়া এবং সয়াবিন মিল। আর এসব খাদ্যের উপাদান বেশির ভাগই আসে আমদানির মাধ্যমে। বিশ্বের যেসব দেশ থেকে এসব খাদ্য উপাদান আমদানি করা হয় কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে ও সাম্প্রতিক সময়ে সেসব খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।




যেমন, ইউরোপে অতিরিক্ত শুকনা মৌসুম হওয়ায় গো-খাদ্যের উপাদানের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আবার রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ায় সেই মাত্রা আরও বেড়ে যায়। গত এক বছরে ভুট্টার দাম শতকরা ৯০ শতাংশ বেড়েছে। গমের ভুষি ৬২.৯ শতাংশ, সরিষার খৈল ৩৫.৩ শতাংশ, ধানের কুড়া ৩০.৩ শতাংশ, সয়াবিন মিলের মূল্য ৬৪.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অতিরিক্ত মূল্য বৃদ্ধির কারণেই দুগ্ধ খামারিদের লাভের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এই অবস্থায় গো-খাদ্যের অতিরিক্ত মূল্য বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশে দুগ্ধ উৎপাদন হুমকির মুখে পড়েছে।


এই অবস্থা থেকে উত্তোরণের জন্য কিছু পরামর্শও দেন আইডিআরয়ের গবেষকরা। তারা বলেন, খামারিদের অতি উচ্চ মূল্যের গমের ভূষি ও অন্যান্য দামি উপাদানের বিকল্প হিসেবে হাতের কাছে পাওয়া যায় এমন সস্তা উপাদান আদর্শ খাদ্য তালিকা অনুসরণ করে ব্যাবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে গমের ভূষির পরিবর্তে কচি নেপিয়ার ও ভুট্টার ঘাস, সাথে লিগুমিনাস খাবার দিতে পারলে বর্তমান সমস্যা বহুমাত্রায় কমানো সম্ভব। তাছাড়াও সাধারণ খড় ব্যাবহারের পরিবর্তে ইউরিয়া যুক্ত খড় ও বেইল খড় ব্যাবহার করা যেতে পারে।




গো-খাদ্য উপাদানের বাজার ব্যাবস্থাপনা, সরবরাহ পদ্ধতি ও এর সঙ্গে জড়িত সকল স্টেক হোল্ডারদের মধ্যে সমন্বয় করে ভালো মানের উদ্যোক্তা তৈরি করার পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে বলেও পরামর্শ দেন গবেষকেরা।


ড. মোহাম্মদ মহি উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্বাঞ্চলের ২৩টি জেলায় ইউএসএআইডি কর্তৃক ‘ফিড দ্যা ফিউচার’ শীর্ষক লাইভস্টক ও নিউট্রিশন কার্যক্রম চলছে। ইউএসএআইডিয়ের সঙ্গে আইডিআরএনের গবেষণার ফলাফল ব্যাবহারের মাধ্যমে খাদ্য সমস্যার একটি যুগোপযোগী ও ফলপ্রসূ সমাধানের উদ্যেগ নেওয়া যেতে পারে।


এছাড়াও খামারিদের সহযোগিতায় প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক বিভিন্ন সময় গৃহীত পদক্ষেপকে আরও বেগমান করে এবং বিভিন্ন গবেষণালব্ধ ফলাফলকে কাজে লাগিয়ে গো-খাদ্যের সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে খামারি পর্যায়ে দুগ্ধ উৎপাদন খরচ কমানোর মাধ্যমে দুগ্ধ খামারিরা লাভবান হতে পারবে৬৪.৫৪ন বলেও জানান এ গবেষক।



Post Top Ad

Responsive Ads Here