"ফিজ-মোসাদ্দেকের বলে নিয়ন্ত্রণে জিম্বাবুয়ে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে টি-২০ সিরিজ | সময় সংবাদ"
স্পোর্টস ডেস্ক:
তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-২০তে হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে এখন জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি টাইগাররা। টস হেরে ফিল্ডিং করছে তারা। শুরুতেই জিম্বাবুয়ে শিবিরে আঘাত হানেন মুস্তাফিজ।
পাওয়ার প্লের প্রথম ৫ ওভারে সোহান ব্যবহার করলেন ৫ বোলার। তাসকিনকে দিয়ে শুরু, এরপর নাসুম আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, মোসাদ্দেক হোসেন এবং শরিফুল ইসলাম। তবে ১৫ রানের মাথায় প্রথম উইকেট পেয়েছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান।
৬ষ্ঠ ওভার থেকেও একইভাবে বোলার ব্যবহার শুরু করলেন তিনি। কোনো বোলারকে দিয়েই টানা বোলিং করাচ্ছেন না। কিন্তু দ্বিতীয় ৫ ওভারের রাউন্ডে বোলার এলোমেলো করে দিলেন। তাসকিনকে দিয়ে শুরু করলেও পরের ওভারেই নিয়ে আসেন মোসাদ্দেক হোসেনকে। এভাবেই দ্বিতীয় উইকেটের দেখা পেয়ে গেলো বাংলাদেশ।
প্রথম দুই ওভার শেষে টি-২০ ফরম্যাটের নতুন অধিনায়ক সোহান তৃতীয় ওভারে বল তুলে দেন মুস্তাফিজের হাতে। নিজের শুরুর ওভারেই ওপেনিং জুটি ভাঙেন ফিজ। ফিজকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ১১ বলে ৮ করে শান্তর তালুবন্দী হন রেগিস চাকাভা। অন্যদিকে দলীয় ৭ ওভারের মাথায় ক্রেইগ আরভিনকে সরাসরি বোল্ড করে সাজ ঘরে ফেরান মোসাদ্দেক সৈকত।
বাংলাদেশের সামনে বিপজ্জনক হয়ে ওঠার সম্ভাবনা তৈরি করেছিলেন ক্রেইগ আরভিন। সপ্তম ওভারের প্রথম বলেই তাকে বোল্ড করে ফিরিয়ে দিলেন মোসাদ্দেক। ৪৩ রানে পড়ে দ্বিতীয় উইকেট।
আরভিন ২১ রান করে আউট হলও ওয়েসলি মাধভিরে এবং শন উইলিয়ামস মিলে বিপজ্জনক জুটি হয়ে উঠছিলেন বাংলাদেশের জন্য।
একের পর এক বোলার ব্যবহার করেও যখন এই জুটি ভাঙতে পারছিলেন না সোহান, তখন তার মুখে হাসি ফোটান মোস্তাফিজুর রহমান। দলীয় ৯৯ রানের মাথায় শন উইলিয়ামসের উইকেট তুলে নেন কাটার মাস্টার।
১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলটিতে স্লোয়ার দিয়েছিলেন দ্য ফিজ। উইলিয়ামসের ব্যাটের নিচের কানায় লেগে বল গিয়ে আঘাত হানে স্ট্যাম্পে। ১৯ বলে ৩৩ রান করে ফিরে যান জিম্বাবুয়ের এই মিডল অর্ডার ব্যাটার।
শেষ খবর পর্যন্ত জিম্ববুয়ের সংগ্রহ ১৬ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রান।
হারারে স্পোর্টস ক্লাবে ম্যাচটি শুরু হয় বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায়। এর আগে টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন। ফলে যথা নিয়মে আগে ফিল্ডিং করছে টাইগাররা।
২০০৬ সালে ক্রিকেটের ছোট ফরম্যাটে অভিষেকের পর থেকে এখন পর্যন্ত ১২৮টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ৪৪টি ম্যাচে জয় এবং ৮১টিতে হেরেছে বাংলাদেশ। বাকি তিনটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৬ ম্যাচ খেলে পাঁচটি হারের বিপরীতে টাইগারদের জয় ১০ ম্যাচে।
দল হিসেবে জিম্বাবুয়ে যেমনই হোক না কেন এই সিরিজের সব ম্যাচে জয়ের দিকেই চোখ বাংলাদেশ অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের।
তিনি বলেন, ‘আমরা জানি জিম্বাবুয়েকে তাদের মাটিতে হারাতে আমাদের সেরা খেলাটা খেলতে হবে। এটা চ্যালেঞ্জিং। অবশ্যই আমরা যতটা সম্ভব ম্যাচ জিততে চাই। সবগুলো ম্যাচ জিতলে ভালো হবে। তাই আমরা ম্যাচ বাই ম্যাচ নিয়ে এগোবো। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল সিরিজের শুরুটা ভালো করা।’
বাংলাদেশ দল:
নুরুল হাসান সোহান (অধিনায়ক), মুনিম শাহরিয়ার, এনামুল হক বিজয়, লিটন দাস, আফিফ হোসেন ধ্রুব, শেখ মাহেদি, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদী হাসান মিরাজ ও পারভেজ হোসেন ইমন।
জিম্বাবুয়ে দল:
ক্রেইগ আরভিন (অধিনায়ক), রায়ান বার্ল, রেগিস চাকাভা (উইকেটরক্ষক), তানাকা চিভাঙ্গা, লুক জঙ্গি, ইনোসেন্ট কাইয়া, ওয়েসলে মাধভেরে, তাদিওয়ানশে মারুমানি, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, টনি মুনিয়োঙ্গা, রিচার্ড এনগারাভা, ভিক্টর নিয়ুচি, সিকান্দার রাজা, মিল্টন শুম্বা ও সিন উইলিয়ামস।