![]() |
"চট্টগ্রামে আরো দুটি বেসরকারি কন্টেইনার ডিপোতে ১৫ অনিয়ম: বিডা | সময় সংবাদ" |
নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রামে আরো দুটি বেসরকারি কন্টেইনার ডিপোতে ১৫টি অনিয়ম পাওয়া গেছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) এক প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে। গত ২৮ মার্চ এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে কমিটি।
এর আগে, গত ডিসেম্বরে চট্টগ্রামে তিনটি বেসরকারি কন্টেইনার ডিপো পরিদর্শন করে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নেতৃত্বে একটি দল। অনুসন্ধান চালানো তিনটি ডিপোর একটি, সম্প্রতি ভয়াবহ দুর্ঘটনাকবলিত বিএম ডিপো। অন্যগুলো ভাটিয়ারির বানুরবাজার এলাকায় পোর্টলিংকের দু’টি ইউনিট।
পোর্টলিংক লজিস্টিকসের দু’টি ইউনিটে অগ্নিঝুঁকিসহ ১৫টি অনিয়ম-অসঙ্গতির প্রমাণ পেয়েছে বিডা।
নির্দিষ্ট ছকে পোর্টলিংকেও অগ্নি, বৈদ্যুতিক, যান্ত্রিক এবং বিস্ফোরণজনিত নিরাপত্তা আর অবকাঠামোসহ সাতটি বিষয় খতিয়ে দেখে পরিদর্শক দল। সবমিলে একটি ইউনিট পায় ৪৩ শতাংশ আর অপরটি পায় ৪১ দশমিক ৬ সাত শতাংশ নম্বর।
প্রতিবেদনে উঠে আসে, ৯টি দফতর থেকে ছাড়পত্র নেয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও প্রতিষ্ঠানটি নিয়েছে ছয়টির। অবকাঠামোর ক্ষেত্রে তিনটি নির্দেশনা মানা হয়নি। অগ্নিনিরাপত্তায় ১১টি বিষয় উপেক্ষিত। বৈদ্যুতিক নিরাপত্তায় ছয়টি নির্দেশনা অনুসরণ হয়নি। আর যান্ত্রিক নিরাপত্তায় একটি। তবে বিবেচনায় আসেনি বিস্ফোরণজনিত নিরাপত্তার বিষয়টি।
সবমিলে প্রতিবেদনে পোর্টলিংক ডিপোতে ১৫টি আইন ও বিধি লঙ্ঘনের প্রমাণ মেলে। তাই সম্ভাব্য দুর্ঘটনা প্রতিরোধে প্রতিটি ক্ষেত্রে করণীয় সম্পর্কে প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়।
পোর্টলিংকের দু’টি ইউনিটই পাশাপাশি। বিডার সুপারিশ বাস্তবায়ন অগ্রগতি জানতে দায়িত্বশীল কারো দেখা মেলেনি। পরে বারবার যোগাযোগ করেও বক্তব্য পাননি সাংবাদিকেরা। পোর্টলিংকের ডিপো দু’টি চালু হয় প্রায় ২০ বছর আগে। যাতে রয়েছে মাসে প্রায় ৫ হাজার কন্টেইনার হ্যান্ডলিং ক্ষমতা।