আয়ুর্বেদিক ওষুধের নামে মাদক মিশ্রিত পানীয় উৎপাদন-বিক্রি, আটক ৬ | সময় সংবাদ - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

বুধবার, আগস্ট ২৪, ২০২২

আয়ুর্বেদিক ওষুধের নামে মাদক মিশ্রিত পানীয় উৎপাদন-বিক্রি, আটক ৬ | সময় সংবাদ

 

আয়ুর্বেদিক ওষুধের নামে মাদক মিশ্রিত পানীয় উৎপাদন-বিক্রি, আটক ৬ | সময় সংবাদ 

ঢাকা প্রতিনিধি


আয়ুর্বেদিক ওষুধের নামে মাদক মিশ্রিত পানীয় উৎপাদন ও বিক্রির অভিযোগে অন্যতম মূল হোতাসহ ৬ জনকে আটক করেছে র‍্যাপিড আ্যকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। এ সময় বিপুল পরিমাণ মাদক ও যৌন উত্তেজক দ্রব্যমিশ্রিত পানীয় উদ্ধার করা হয়েছে।


আটককৃতরা হলেন- মূল হোতা মো. ওয়াজেদ ইসলাম শান্ত, মো. রাসেল, মো. হৃদয়, মো. মুরসালিন আহম্মেদ, সবুজ মিয়া, ও মো. নান্টু। মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর নারিন্দাসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।



রাতেই এক সংবাদ সম্মেলনে এসহ তথ্য জানান র‍্যাবের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।


তিনি বলেন, সম্প্রতি আমরা বেশ কিছু অভিভাবকদের কাছ থেকে অভিযোগ পাই যে কামরাঙ্গীরচরে খোলা মোরা জায়গায় একটি দোকানে আয়ুর্বেদিক ওষুধের আড়ালে এক প্রকার পানীয় বিক্রি করা হয়। তাদের ছেলেরা এ আয়ুর্বেদিক ওষুধের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে। তা খাওয়ার পর মাদকাসক্তদের মতো আচারণ করে।


এমন তথ্যের ভিত্তিতে র‍্যাব-২ এর একটি দল গোপনে দোকান থেকে ঐ আয়ুর্বেদিক ওষুধ সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠায়। সেই পানীয়ের মধ্যে গাঁজা, ইয়াবা, ডান্ডি তৈরিতে ব্যবহৃত টলুইন নামক ‘ক’ শ্রেণির মাদকের উপস্থিতি পাওয়া যায়। এছাড়া তীব্র ঘুমের ওষুধ ও যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধির বিভিন্ন উপকরণ, অ্যাসিড জাতীয় দ্রব্যাদিসহ বিভিন্ন দাহ্য পদার্থের উপস্থিতি পাওয়া যায়। যা পান করলে কিডনি রোগসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।


তিনি আরো বলেন, এরই পরিপ্রেক্ষিতে রাজধানীর নারিন্দায় অবস্থিত কারখানায় এবং কামরাঙ্গীরচর, কাটাবন, নাজিরা বাজার, গুলিস্তান, পুরান ঢাকার বিভিন্ন আউটলেটে অভিযান চালিয়ে আয়ুর্বেদিক/ভেষজ ওষুধের আড়ালে মাদক মিশ্রিত পানীয় উৎপাদন ও বিক্রির অন্যতম হোতা ওয়াজেদ ইসলাম শান্তসহ ৬ জনকে আটক করা হয়। অভিযানে তিন হাজার ৫০০ বোতল বিভিন্ন প্রকার মাদক মিশ্রিত পানীয়, ওষুধ তৈরির কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত ইয়াবার গুঁড়া ও গাঁজা সদৃশ্য বস্তুসহ বিভিন্ন উপাদান জব্দ করা হয়।


খন্দকার আল মঈন বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা যায় যে তারা ফার্মেসির নামে লাইসেন্স নিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে আয়ুর্বেদিক ওষুধ বিক্রির আড়ালে মাদক ও যৌন উত্তেজক দ্রব্যমিশ্রিত পানীয় প্রস্তুত ও বিক্রি করে আসছিল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা জানায়- কথিত আয়ুর্বেদিক পানীয় প্রতি বোতল দাম ১৬০-২০০ টাকায় বিক্রি হয়। তারা গত দুই-তিন বছর ধরে আয়ুর্বেদিক ওষুধের ক্ষতিকর ও নেশা জাতীয় পানীয় উৎপাদন ও বিক্রি করতো। এছাড়া তাদের এই নকল ওষুদের বোতলে লেখা থাকতো- নকল হইতে সাবধান।


নারিন্দার কারখানায় এসব পানীয় উৎপাদন করে কামরাঙ্গীরচর, কাটাবন, নাজিরা বাজার, গুলিস্তানসহ বিভিন্ন জায়গায় আউটলেটের মাধ্যমে প্রতিদিন তিন-চারশ বোতল বিক্রি হতো বলে জানায় আটকরা। র‍্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা গেছে, তারা ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে কারখানার কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। বিভিন্ন সময় অবস্থান পরিবর্তনও করত চক্রটি।


র‍্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, কম দামে নেশা জাতীয় দ্রব্যাদির উপস্থিতি থাকায় তরুণ সমাজের মধ্যে পানীয়টির চাহিদা বৃদ্ধি পায়। তাই এ চক্র এগুলো তৈরি ও বিক্রি করে আসছিল। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

Post Top Ad

Responsive Ads Here