সঞ্জিব দাস :
ফরিদপুর জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ড. যশোদা জীবন দেবনাথ (সিআইপি) সভাপতি পদে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন। কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদে সদস্যদের সরাসরি ভোটে বিধান সাহা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। কমিটির মেয়াদকাল দুই বছর।
এছাড়া সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দিতাকারী অজয় কুমার রায়কে এক নম্বর যুগ্ম সম্পাদক এবং সদ্য বিলুপ্তি হওয়া কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ননী গোপালকে সহসভাপতি পদে রাখার কথা বলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক।
এ সময় ঢাকা থেকে আগত কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা ফরিদপুরের বর্ণিল আয়োজনে আয়োজিত সম্মেলনকে দেশের স্মরণকালের সবচেয়ে বড় একটি সম্মেলন বলে উল্লেখ করেন। তারা ফরিদপুর জেলা কমিটিকে এমন সুন্দর আয়োজনের মাধ্যমে সম্মেলন করার জন্য বিশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বারবার।
এর আগে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ও বর্ণিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে ফরিদপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ এর দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন শুরু হয়।
শুক্রবার দুপুরে ফরিদপুর শহরের শ্রীধাম শ্রী অঙ্গনে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি জে এল ভৌমিক।
ফরিদপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ডক্টর যশোর জীবন দেবনাথ (সিআইপি) এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডক্টর চন্দনাথ পোদ্দার।
এসময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পূজা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি সাংবাদিক বাসুদেব ধর, বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শুভাশিস বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক বিপ্লব দে, ছোঁয়া ভট্টাচার্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাসন্তী রায়, মিহির হাওলাদার, ধ্রুবকুমার রায়, মিহির কান্তি ঘোষাল, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী চৌধুরী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুধীর চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শ্যামল কুমার ব্যানার্জি, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহা, ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র অমিতাভ বোস, মহানাম সম্প্রদায়ের সভাপতি শ্রীমৎ কান্তি বন্ধু ব্রহ্মচারী প্রমূখ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ফরিদপুর জেলা পুজা উদযাপন কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ননী গোপাল রায়।
এর আগে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার সনাতন ধর্মালম্বীরা দ্বি বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দেন। তাদের আসা-যাওয়ার ব্যবস্থা সহ দুপুরের খাবার ব্যবস্থা করেন ফরিদপুর জেলা পূজা উদযাপন কমিটি।