ফরিদপুর প্রতিনিধি :
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গোপালগঞ্জ সোনালী ব্যাংক প্রদান শাখার হেড ক্যাশিয়ারসহ ৮জন কর্মকর্তাকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রধান করেছে ফরিদপুরের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক। বুধবার বেলা ১১টার দিকে বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোঃ মতিয়ার রহমান এ আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় ৮জন আসামি আদালতে হাজির ছিলেন।
এ ব্যাপারে ফরিদপুর জেলা দূর্নীতি দমন কমিশনের পিপি এ্যাড. মজিবর রহমান জানান, সোনালী ব্যাংক গোপালগঞ্জ শাখার পেনশন হোল্ডার ও ভুয়া পেনশন হোল্ডারদের নাম দেখিয়ে ৪৭ লক্ষ ২ হাজার ৬২৮টাকা ৩৮ পয়সা সরকারী টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ওই শাখার তৎকালিন হেড ক্যাশিয়ার শওকত হোসেন মোল্লাসহ ৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছে আদালত। এরমধ্যে ১নং আসামী শওকত হোসেন মোল্লাকে যাবৎজীবন কারাদন্ড একই সাথে অনাদায়ে আরো ১৭ বছর, একই সাথে ৪৮ লক্ষ ২হাজার ৬২৮টাকা জরিমানা আদায়, অনাদায়ে আরো ১বছর ৪মাস কারাদন্ড প্রদান করা হয়। বাকি ৭জনকে ১৮বছর সশ্রম কারাদন্ড একই সাথে ৯০ হাজার টাকা অর্থদন্ড, অনাদায়ে আরো ১ বছর কারাদন্ড প্রধান করেন আদালত। সাজা প্রাপ্তরা হলেন, ওই শাকার হেড ক্যাশিয়ার শওকত হোসেন মোল্লা, অমল চন্দ্র বিশ্বাস, এইচ.এম সিদ্দিকুর রহমান, মঞ্জুরুল হক, মোশারফ হোসেন মোল্লা, গোলাম মোঃ মুন্সি, দীলিপ কুমার ও ইফসুফ আলী খন্দকার।
তিনি বলেন, এরআগে ২০০৩ সালের ৮ ডিসেম্বর ওই শাখার ব্যবস্থাপক আব্দুস সোহবান বাদি হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় ১০জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে। এর মধ্যে দুই আসামী মৃত্যুবরন করেছেন। আর এই মামলাটি তদন্ত করেছেন ফরিদপুর দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবুল বাশার। এদিকে রায় ঘোষনার পরে অভিযুক্ত সকল আসামীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
No comments:
Post a Comment