ফরিদপুর প্রতিনিধি :
বাবা একজন পাগল ভিক্ষুক, মাও ভিক্ষুক। খুপড়ী একটি ঘরে ছোট বোন নাদিরা ও ভিক্ষুক বাবা মাকে নিয়ে ২ শতাংশ জমির উপর বসবাস সোনিয়ার। সোনিয়া নিজেও একজন বুদ্ধি ও শারীরিক প্রতিবন্ধী মেয়ে। বাড়ির পাশ্ববর্তী বাজারে নিয়মিতই যেতো চা-মুদি দোকারদার ইমরানের দোকানে। সময়ে অসময়ে ইমরানের দোকানে যেয়ে সোনিয়া হয়েছে ৫ মাসের গর্ভবতী। এমনই এক ঘটনা ঘটেছে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের কুমারকান্দা গ্রামে।
স্থানীয়রা জানান, কুমারকান্দা গ্রামের ভিক্ষুক ছব্দার আলীর বড় মেয়ে সোনিয়ার সাথে পাশ্ববর্তী যদুনন্দী খালপাড়া গ্রামের রফিক মোল্যার ছেলে কুমারকান্দা বাজারের দোকারদার ইমরান মোল্যা (২৫) এর সাথে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সুবাদে বিভিন্ন প্রসাধনীর প্রলোভনে দোকানের ভিতরেই চলে দু’জনের অবাধ মেলামেশা। এক পর্যায়ে সোনিয়া হয়ে পড়ে গর্ভবতী। বুদ্ধি ও শারীরিক প্রতিবন্ধী সোনিয়া বুজে উঠতে পারেনি যে সে নিজে গর্ভবতী হয়েছে। মেয়ের অবস্থা দেখে মা জিজ্ঞাসা করলে সে বলে দোকানদার ইমরান করেছে এই কাজ। পেটের ৫ মাসের সন্তান ইমরানের। এলাকায় এই ঘটনা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গুঞ্জন চলছিল। অভিযুক্ত ইমরান প্রথম দিকে অস্বীকার করলেও পরে সে স্বীকার করে নিয়েছে। এলাকার জনগনের চাপের মুখে অবশেষে বিয়ের পিড়িতে বসতে বাধ্য হয়েছে। ১৬ সেপ্টেম্বর বুধবার সন্ধ্যায় স্থানীয়রা এই বিয়ের আয়োজন করে। স্থানীয় কয়েক হাজার লোকের উপস্থিতিতে এই বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা যায়।
যদুনন্দী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রব মোল্যা বলেন, স্থানীয়রা যে কাজটি করেছে তা প্রসংশনীয়। এমন ঘটনার সঠিক বিচার হয়েছে বলে আমি মনে করি। এই দম্পত্তি যদি সঠিক ভাবে সংসার করে আমি এদের আর্থিক সহযোগিতা করবো। এদের সুখে দুঃখে পাশে থাকবো।
No comments:
Post a Comment