সঞ্জিব দাস, ফরিদপুর থেকে :
শারদীয় দুর্গা উৎসবের মহা নবমীতে ফরিদপুর শহরের বিভিন্ন পূজা মন্দির পরিদর্শন করতে গিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর অন্যতম সদস্য ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন এমপি বলেছেন, ফরিদপুরে একটি কথা খুব স্পষ্ট “ধর্ম যার যার উৎসব সবার”। এটা কিন্তু শুধু ফরিদপুরে কথা নয় সারা বাংলাদেশে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এই কথাটি প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন।
তিনি বলেন ফরিদপুর শহর সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির একটি মডেল, শুধু শহর নয় গোটা জেলায় বর্তমান সরকারের সময়কালে এই অবস্থা বিরাজ করছে। সকলেই মিলে মিশে উৎসবগুলো পালন করে থাকি আমরা এখানে।
তিনি আরো বলেন, আমরা প্রত্যেকেই একে অন্যের ধর্মকে আমরা সম্মান করি, আমরা চাই সকল শ্রেনী পেশার মানুষ মিলে মিশে শান্তিতে বসবাস করুক।
এমপি মোশাররফ হোসেন সোমবার বিকাল ৪টা থেকে শুরু করে রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন মন্দিরের কমিটি ও ভক্তদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করে তাদের উৎসবের খোজ-খবর নেন। এসময় তিনি তার ব্যক্তিগত উদ্যোগে সকল মন্ডপে আর্থিক সহায়তা ও শাড়ি-লুঙ্গি বিতরণ করেন।
এসময় অনুষ্ঠান গুলোতে উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মৃধা, পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাড. সুবল চন্দ্র সাহা, ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক ঝর্না হাসান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা মাসুম রেজা, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী, সাধারন সম্পাদক চৌধুরী বরকত ইবনে সালাম, জেলা যুবলীগের আহবায়ক এএইচএম ফোয়াদ, ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ ইমতিয়াজ হাসান রুবেল, নজরুল ইসলাম, সাহেব সরোয়ার, অনিমেষ রায়, মনি হোসেন, ছাত্রলীগের সভাপতি নিশান মাহমুদ শামীম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, এরআগে গত রবিবার এমপি সকাল থেকে মধ্যে রাত পর্যন্ত সদর উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নের পূজা মন্ডপগুলো পরিদর্শন ও তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে নগদ অর্থ, শাড়ী ও লুঙ্গি বিতরন করেন।
অপরদিকে জেলার নগরকান্দা উপজেলায় ২৭টি পূর্জা মন্দির পরিদর্শন করেছেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের নেতা অ্যাড. জামাল হোসেন মিয়া। তিনি ওই সব মন্ডপ গুলতে তার ব্যক্তিগত তরপ থেকে আর্থিক অনুদান প্রদান করে।