ক্যাসিনোয় জড়িতদের সেকেন্ড হোমের সন্ধান - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ১৪, ২০১৯

ক্যাসিনোয় জড়িতদের সেকেন্ড হোমের সন্ধান

 ি                                      ক্যাসিনো এর ছবির ফলাফল
সময় সংবাদ ডেস্ক//
ক্যাসিনোকান্ডে জড়িতদের বিদেশে অর্থ পাচার ও তাদের সেকেন্ড হোমের সন্ধান পেয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। আরও তথ্য পেতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিএফআইইউ কর্মকর্তারা কাজ করছেন। ইতিমধ্যে ক্যাসিনো হোতাদের মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে সেকেন্ড হোমের তথ্য পাওয়া গেছে। এদিকে বেআইনিভাবে বিপুল সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলায় অনলাইন ক্যাসিনো ব্যবসায়ী সেলিম প্রধানকে সাত দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত। গতকাল এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন নিয়ে সেলিম প্রধানকে আদালতে হাজির করার পর ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। জানা গেছে, সম্প্রতি ক্যাসিনোকান্ডে জড়িত বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটসহ যাদের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে, তারা অর্থ পাচার করেছেন কি-না তা খতিয়ে দেখছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মকর্তারা। বিশেষ করে মালয়েশিয়ার সেকেন্ড হোম প্রকল্পে যেসব বাংলাদেশির নাম রয়েছে, তাদের যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে বিএফআইইউর কর্মকর্তারা তথ্য সংগ্রহের জন্য কাজ করছেন। বিএফআইইউ কর্মকর্তারা জানান, ক্যাসিনোর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের অনেকে মালয়েশিয়া ছাড়াও থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশে অর্থ পাচারের পাশাপাশি সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। সংস্থার কর্মকর্তারা বলেছেন, ‘দেশের বাইরে অর্থ পাচার বা সেকেন্ড হোম নিয়ে বিএফআইইউ নিজেদের মতো করে কাজ করছে। দেশের বাইরে কী পরিমাণ অর্থ পাচার হয়েছে, অথবা কারা অর্থ পাচার করেছে, সেই তথ্য আমরা জোগাড় করছি। কার কোথায় কী আছে, এখন সবই জানা।’ সূত্র বলছে, মালয়েশিয়ার সেকেন্ড হোম প্রকল্পে বিনিয়োগ করা বাংলাদেশিদের অর্থের উৎস জানার চেষ্টা করছেন বিএফআইইউ কর্মকর্তারা। এর মধ্যে মালয়েশিয়ার আমপাং তেয়ারাকুন্ড এলাকায় ফ্ল্যাট কিনেছেন যুবলীগ থেকে বহিষ্কৃত ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। এ ছাড়া মমিনুল হক সাঈদ, খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াসহ অন্তত ৫০ জনের বিদেশে থাকা অর্থের সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্যও রয়েছেন বলে সূত্রে জানা গেছে। অনেকে সপরিবারে ব্যবসা-বাণিজ্যের পাশাপাশি দেশটিতে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। তিন শর বেশি বাংলাদেশি সেখানে বাড়ির মালিক হয়েছেন। বাংলাদেশ থেকে টাকা পাচার করে অনেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করেছেন সেখানকার কৃষিসহ বিভিন্ন খাতে। মালয়েশিয়ায় কয়েক হাজার বাংলাদেশি রেস্টুরেন্ট ব্যবসা গড়ে তুলেছেন। ওই দেশে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের পাঁচ তারকা হোটেল ব্যবসা, গার্মেন্ট কারখানা, ওষুধশিল্পসহ নানা খাতে বিপুল বিনিয়োগ রয়েছে। অনেকে রাজধানী কুয়ালালামপুরসহ বড় বড় শপিং মলে দোকানও কিনেছেন। আবার অনেকে স্বর্ণ, খেলনা, তৈরি পোশাকের ব্যবসা করছেন।

সেলিম প্রধানের রিমান্ড : দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় অনলাইন ক্যাসিনো ব্যবসায়ী সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকার সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ। ৩১ অক্টোবর এ মামলায় সেলিম প্রধানের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান। আদালত রিমান্ড শুনানির জন্য ৩ নভেম্বর দিন ধার্য করেছিল। তবে সেদিন অসুস্থ থাকায় সেলিম প্রধানকে আদালতে হাজির করা হয়নি। এ অবস্থায় রিমান্ড শুনানি পিছিয়ে ১৩ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়। গতকাল সেই নির্ধারিত দিনে আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করে এ আদেশ দেয়। ২৭ অক্টোবর দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, সেলিম প্রধান অবৈধভাবে ১২ কোটি ২৭ লাখ ৯৫ হাজার ৭৫৪ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন। ১৮ সেপ্টেম্বর র‌্যাব রাজধানীর অবৈধ ক্যাসিনোগুলোয় অভিযান পরিচালনা শুরু করে। সেই অভিযানের অংশ হিসেবে ৩০ সেপ্টেম্বর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট থেকে আটক করা হয় সেলিম প্রধানকে।

Post Top Ad

Responsive Ads Here