
সময় সংবাদ ডেস্ক//
কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে মাহমুদুল হাসান (৩৭) নামে এক রোহিঙ্গা হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে টেকনাফ হ্নীলা ইউনিয়নের শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাহাড়ি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও গুলি উদ্ধার করা হয়।
নিহত মাহমুদুল হাসান টেকনাফ হ্নীলা নয়াপাড়া শরণার্থী শিবিরের এইচ ব্লকের মৃত বাকের আহমেদেরর ছেলে। তিনি শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডাকাত সর্দার জকিরের প্রধান সহযোগী ছিলেন বলে জানা যায়।
এদিকে, গোলাগুলিতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। আহতরা হলেন, কনস্টেবল মিঠুন জয়, শাহীন ও হাবিব।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে- টেকনাফের শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাহাড়ি এলাকায় কুখ্যাত রোহিঙ্গা ডাকাত জকির তার সদস্যদের নিয়ে আস্তানায় অবস্থান করছেন। এমন সংবাদে কক্সবাজার সদর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেদুয়ানের নেতৃত্বে মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক (তদন্ত) এবিএমএস দোহা ও নয়াপাড়া শরণার্থী শিবিরের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. মনিরুল ইসলাম ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযানে গেলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দলের সদস্যরা পুলিশের উপর গুলি বর্ষণ করে। এসময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়।
পরবর্তীতে ডাকাত দলের সদস্যরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আহত ডাকাতকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। এই ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণ করে মামলা রুজু করা হবে বলে জানিয়েছেন ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।