ফরিদপুর প্রতিনিধি :
জেলা পর্যায়ে ‘বিজয়ফুল’ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এই বিজয় ফুল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার।
এ প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন বিভাগের সাতটি বিষয়ের উপর প্রতিযোগিতা হয়। প্রতিযোগিতার বিষয় বিজয়ফুল (শাপলা) তৈরি, জাতীয় সঙ্গীত, কবিতা আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন, একক অভিনয়, দেশাত্ববোধক গান । প্রতিযোগিতার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ, কাপড়, প্লাস্টিক সিট ও অন্যান্য উপকরণ দেয়া হয় জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে।
উপজেলা পর্যায়ের বিজয়ীদের নিয়ে জেলা পর্যায়ের চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার জন্য আজ সকাল ৯টা হতে কার্য়ক্রম চলে। চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা শেষে আজ দুপুর ২টায় বিজয়ীদের মাঝে পুরুষ্কার বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক অতুল সরকার।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, নতুন প্রজন্মকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধকরণের লক্ষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যৌথ আয়োজনে এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ২য় বারের মত বিজয় ফুল প্রতিযোগিতা ২০১৯ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বাংলাদেশেও আমরা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষের স্মরণে ডিসেম্বর মাসে বিজয় ফুলের প্রচলন করতে পারি এবং বিজয়ের মাসে পোশাকে বিজয় ফুলের প্রতীক ধারণ করতে পারি।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বিজয় ফুল তৈরি প্রতিযোগিতা সংক্রান্ত আয়োজনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য আলোকপাত করে জানানো হয়, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স এবং বেলজিয়াম প্রতি বছর ১১ নভেম্বর প্রথম বিশ্বযুদ্ধে নিহত তাদের বীর শহীদদের স্মরণে ‘রিমেমব্রান্স ডে’ উদযাপন করে থাকে। যেসকল যোদ্ধা ও সাধারণ মানুষ যুদ্ধে নিহত হয়েছিলেন ওইদিন তাদের স্মরণে পোশাকে লাল পপি ফুল ধারণ করে থাকেন। বাংলাদেশেও আমরা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষের স্মরণে ডিসেম্বর মাসে বিজয় ফুলের প্রচলন করতে পারি এবং বিজয়ের মাসে পোশাকে বিজয় ফুলের প্রতীক ধারণ করতে পারি।
গত বছর হতে স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা পর্যায়ে দেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আন্তঃশ্রেণি প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শুরু হয়ে উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে এ প্রতিযোগিতা হয়েছে। বিভাগীয় পর্যায়ে বাছাইকৃত প্রতিযোগিদের মধ্য থেকে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রতিযোগী নির্বাচন করা হয়।
প্রতিযোগিতা তিনটি স্তরে যথা: গ্রুপ-ক : শিশু থেকে পঞ্চম শ্রেণি, গ্রুপ-খ : ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি এবং গ্রুপ- গ : নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রতিযোগিতায় ছেলে ও মেয়ে উভয়ের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়।
উল্লেখ্য, সুন্দরভাবে তৈরি করা বিজয়ফুলের জন্য পুরস্কারের ব্যবস্থা করা হবে। তৈরি করা বিজয় ফুল বিক্রি করে অর্জিত অর্থ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার অথবা প্রতিবন্ধীদের সহায়তার পরিকল্পনা রয়েছে।