ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার আলিম মাদ্রাসার সুপার লাঞ্ছিত হয়েছে। সরকারী নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠানের চতুর্থ শ্রেনীর শিক্ষার্থী বর্ণকে প্রাইভেট পড়াতো হরিণাকুন্ডু আলিম মাদরাসায় নকল ঠেকাতে গিয়ে ঐ প্রতিষ্ঠানের সহকারী মৌলভী রফিকুল ইসলামের দ্বারা সুপার জামিরুল ইসলাম শিক্ষক রফিকুল ইসলাম যার সূত্র ধরে বর্ণকে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিয়ে আসছিল। বার্ষিক পরীক্ষা চলাকালীন বর্ণকে প্রশ্নের উত্তর বলে দেওয়ায় পাশের পরীক্ষার্থী আকিব নামের আর একজন বাঁধা দেয়। পরীক্ষা শেষে আকিবের পিতা প্রতিষ্ঠানের সুপার জামিরুল ইসলামের নিকট পরীক্ষার হলে প্রশ্ন বলে দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে সুপার ঐ শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে শিক্ষক সুপারের ওপর চড়াও হয়। শেষ পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কিও হয় বলে শিক্ষার্থী, প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকসহ প্রত্যক্ষদর্শীরা ঘটনার সত্যতা জানাই।
এপ্রসংগে সহকারী মৌলভী রফিকুল ইসলাম বলেন আমি অন্যায় করেছি এর জন্য ভুল স্বীকার করছি।
মাদ্রাসার সুপার জামিরুল ইসলাম জানান, আমি সহকারী মৌলভী রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা সম্পর্কে জিঞ্জাসা করলে তিনি আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে গালিগালাজ করতে করতে আমাকে লাঞ্চিত করে। প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষকরা তাকে প্রতিরোধ করে। আমি এই ঘটনার বিচার চেয়ে সভাপতি এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে জানিয়েছি। আজ তার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে।
এ ব্যাপারে হরিণাকুন্ডু মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফজলুল হক জানান প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীকে অতিরিক্ত অর্থ নিয়ে প্রাইভেট পড়ানো সম্পূর্ণ বেআইনী। ঘটনাটি আমি শুনেছি সঠিক তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক রফিকুল ইসলামের নিকট জানতে চাইলে তিনি ক্যামেরার সামনে কথা বলতে চাননি।
বিষয়টি সম্পর্কে মাদ্রাসার সভাপতি এ্যাড. কামরুল আবেদিন শাহিন বলেন ঘটনা সম্পর্কে আমি জেনেছি, রফিকুল ্ইসলামের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কমিটির মিটিং আহবান করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment