সময় সংবাদ ডেস্ক//
সিরিজ জুড়ে দারুণ পারফর্ম করেছেন অস্ট্রেলিয়ান পেসাররা। ন্যাথান লায়নের কাছেও কিছু পাওয়ার ছিল দলের! পাওনা চুকিয়ে এই অফ স্পিনার, নিলেন ৫ উইকেট। যে মাঠে একসময় ছিলেন মাঠকর্মী, সেই অ্যাডিলেইড ওভালে পূরণ করলেন ৫০ উইকেট। অনুমিতভাবেই পাকিস্তানকে ইনিংস ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজে তাদের হোয়াইটওয়াশ করল অস্ট্রেলিয়া। অ্যাডিলেইড টেস্টে পাকিস্তানকে ইনিংস ও ৪৮ রানে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। দুই ম্যাচের সিরিজ জিতে নিয়েছে ২-০তে। সিরিজের আগের টেস্টে অস্ট্রেলিয়া জিতেছিল ইনিংস ও ৫ রানে। ম্যাচের চতুর্থ দিনে সোমবার পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংসে গুটিয়ে যায় ২৩৯ রানে। প্রথম ইনিংসে তারা করেছিল ৩০২ রান। একমাত্র ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া ইনিংস ঘোষণা করেছিল ৩ উইকেটে ৫৮৯ রানে। এই নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় টানা ১৪ টেস্ট হারল পাকিস্তান। সবশেষ ১৯৯৫ সালে সিডনিতে মার্ক টেইলরের অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল ওয়াসিম আকরামের পাকিস্তান। সফরকারীরা দিন শুরু করেছিল ৩ উইকেটে ৩৯ রান নিয়ে। হার এড়ানোর লড়াইয়ে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন শান মাসুদ ও আসাদ শফিক। দুজনের জুটি পেরিয়ে যায় শতরান। সেই প্রতিরোধ ভাঙেন লায়ন। ফিরিয়ে দেন মাসুদকে। ৬৮ রানে বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়ে সহজ ক্যাচ দেন তিনি। পরে ৫৭ রানে শফিককেও ফেরান লায়ন। পাকিস্তান লড়াইয়ের চেষ্টা করে এরপরও। কিন্তু পেরে ওঠেনি লায়নের সঙ্গে। ক্যারিয়ারে ষোড়শবার ৫ উইকেটের স্বাদ পান লায়ন। অ্যাডিলেইডে তার ৫০ উইকেটের বেশি আছে কেবল আর শেন ওয়ার্নের (৫৪টি)। দিনের নায়ক লায়ন হলেও ম্যাচ ও সিরিজের নায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। রেকর্ড গড়া ট্রিপল সেঞ্চুরিতে হয়েছেন ম্যান অব দা ম্যাচ। অ্যাশেজে ১০ ইনিংসে ৯৫ রান করা ব্যাটসম্যান এই সিরিজে ২ ইনিংসেই করলেন ৪৮৯ রান। সিরিজের সেরাতেও তার ছিল না কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: ৫৮৯/৩ (ডি.)
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ৩০২
পাকিস্তান ২য় ইনিংস: (ফলো অনের পর) ৮২ ওভারে ২৩৯ (আগের দিন ৩৯/৩) (মাসুদ ৬৮, শফিক ৫৭, ইফতিখার ২৭, রিজওয়ান ৪৫, ইয়াসির ১৩, আফ্রিদি ১, আব্বাস ১, মুসা ৪*; স্টার্ক ১৬-৩-৪৭-১, হেইজেলউড ২৩-৪-৬৩-৩, কামিন্স ১৫-৪-৪৫-০, লায়ন ২৫-৭-৬৯-৫, লাবুশেন ৩-০-৯-০)।
No comments:
Post a Comment