সময় সংবাদ ডেস্ক//
১৩৮ রানের পুঁজি নিয়ে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জিততে হলে লাগে অসাধারণ বোলিং ও ফিল্ডিং। ব্যাটিংয়ে দ্রুত গুটিয়ে যাবার পর অন ফিল্ডেও তেমন কোন প্রতিরোধ গড়তে পারে নি রংপুর। রাইলি রুশোর ব্যাটিং তাণ্ডবে প্রায় আট ওভার হাতে রেখে মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নিয়েছে খুলনা টাইগার্স। রুশো ৩১ বলে ৬৬ রানে করে অপরাজিত ছিলেন, জয়সূচক রানটি আসে অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের ব্যাট থেকে।
এর আগে, বঙ্গবন্ধু বিপিএলে শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং নেন খুলনা অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ফলে আগে ব্যাট করতে নামে মোহাম্মদ নবীর রংপুর। তবে শুরুটা শুভ হয়নি তাদের। ভূমিকাতেই মোহাম্মদ আমিরের শিকার হন মোহাম্মদ শাহজাদ। শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে না ওঠার আগেই শফিউল ইসলামের উইকেট হয়ে ফেরেন ক্যামেরন ডেলপোর্ট। সেই রেশ না কাটতেই একই বোলারের বলে সাজঘরের পথ ধরেন নাদিফ চৌধুরী।
দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে রংপুর। তবে একপ্রান্ত আগলে থাকেন নাঈম শেখ। ফজলে মাহমুদকে নিয়ে এগিয়ে যান তিনি। সঙ্গ পেয়ে দারুণ খেলেন বাঁহাতি ওপেনার। ব্যাটে ছোটান স্ট্রোকের ফুলঝুরি। তবে দুর্ভাগ্য তার। সতীর্থের সঙ্গে ক্ষণিকের ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউটে কাটা পড়েন তিনি। মাত্র ১ রানের জন্য আসরে দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নিতে পারেননি নাঈম। ৩২ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৪৯ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলে ফেরেন তিনি। এতে ফের চাপে পড়ে উত্তরবঙ্গের দলটি। এ অবস্থায় আস্থার প্রতিদান দিতে পারেন অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী। মোহাম্মদ আমিরের কট অ্যান্ড বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি।
এরপর লুইস গ্রেগরিকে নিয়ে খেলা ধরেন ফজলে মাহমুদ। ধীরে ধীরে এগিয়ে যান তারা। দুর্দান্ত খেলেন মাহমুদ। যথার্থ সমর্থন দেন গ্রেগরি। তাতে মাঝারি স্কোরের স্বপ্ন দেখতে থাকে রংপুর। তবে শফিউল ইসলামের বলে ফজলে ফিরতেই তা ভেস্তে যায়। ফেরার আগে ৩৩ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় ৪২ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেন তিনি।