ভোলা প্রতিনিধি-
গায়ের দামে বই কিনি আলোকিত জীবন গড়ি এ শ্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশন ও বিক্রেতা সমিতির ভোলা জেলা শাখার বার্ষিক সাধারন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ১১টায় তৃষ্ণা রেষ্টুরেন্ট এন্ড পার্টি সেন্টারে জেলার সাতটি উপজেলায় নব গঠিত কমিটি পুস্তক বিক্রেতা সকল সদস্য এবং প্রতিনিধিদের উপস্থিতি তে সভা অনুষ্ঠিত হয়।সভায় মাওঃ ছালেহ আহম্মদ কোরআন তেলোয়াত ও লালমোহন উপজেলার সভাপতি রামক্ঞ্চ্ ৃমজুমদারের গীতা পাঠের মধ্য দিয়ে সভার সুচনা হয়।
ভোলা জেলা পুস্তক প্রকাশন ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি আ,ন,ম মাকসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান ও ভোলায় হারানো(মৃত) পুস্তক ব্যবসায়ীদের স্বরনে একমিনিট নিরবতা পালন ও তাদের আত্বার মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয়।
পরবর্তীতে বার্ষিক প্রতিবেদন, নবায়ন ফি,নীতিমালা বাস্তবায়নের উপর গুরুত্বারোপ করে জেলার সাধারন সম্পাদক এজিএম ফারুক বক্তব্য প্রদান করেন।
তারই প্রেক্ষিতে সমিতির নিয়ম অনুযায়ী জেলার নেতৃবৃন্দ ফুল দিয়ে বরন করেন সভার প্রধান অতিথি কাজী জহিরুল ইসলাম বুলবুল পরিচালক কেন্দ্রীয় কমিটি ও আহবায়ক নীতিমালা স্টেন্ডিং কমিটি (বাপুস), বিশেষ অতিথি মোঃ গোলাম এলাহী যায়েদ পরিচালক কেন্দ্রীয় কমিটি ও সদস্য সচিব হিসাব নিরীক্ষা ষ্টান্ডিং কমিটি (বাপুস), মোঃ আমিনুর রহমান পরিচালক কেন্দ্রীয় কমিটি ও দলনেতা বরিশাল বিভাগ (বাপুস), মোঃ নেছার উদ্দিন হাং, পরিচালক কেন্দ্রীয় কমিটি (বাপুস) মোঃ আবুবকর ছিদ্দিক, সাধারন সম্পাদক, বরিশাল বিভাগ।
সভায় বক্তব্য রাখেন জেলার সাবেক সভাপতি মাহবুব মোর্শেদ বাবুল, চরফ্যাশন উপজেলা সভাপতি এ,কে এম গিয়াসউদ্দিন, বোরহানউদ্দিন উপজেলা সভাপতি মোঃ আশ্রাফ মাষ্টার, তজুমদ্দিন উপজেলা সভাপতি হেলাল উদ্দিন, লালমোহন উপজেলা সাধারন সম্পাদক এবিএম শামসুদ্দিন মিয়া প্রমুখ।
সে সময় বক্তারা বলেন কেন্দ্রীয় নিয়ম অনুযায়ী সকল জেলায় পুস্তক বিক্রয় হলেও ভোলায় নীতিমালা মানতে নারাজ ব্যবসায়ীরা। মৌসুমে বিক্রেতার রক্ত চক্ষুতে পাল্লায় বই বিক্রয়ে লোকসান গুনতে হচ্ছে। স্কুলে বই বিক্রয় আরেকটি দুর্ভোগে প্রকৃত ব্যবসায়ীরা। তাই নীতিমালা স্টেডিং কমিটির কোন হস্তক্ষেপ লক্ষ্য করা যায় না।তারই প্রেক্ষিতে সকল ব্যবসায়ী সকল অনিয়ম ও সঠিক আইন প্রয়োগের উদাত্ত আহবান জানান। ভোলা ও চরফ্যাশন উপজেলায় দুটি অফিস স্থাপনে অনুরোধ করেন বক্তারা।
সকল অনিয়ম কে সঠিক জায়গায় পরিচালনায় নীতিমালা স্টান্ডিং কমিটি গঠন করা হয়।জেলায় ইন্সপেক্টর নিয়োগ ও পরিদর্শনে জোড়ালো ভুমিকার উপর গুরুত্বারোপ করেন। কোন রকমে স্টেশনারী, জুতা,রকমারী মালের সাথে বইর দোকান কাম্য নয়।এ বছর থেকে নতুন দোকান কার্ড ইস্যু করতে উপজেলা সভাপতি, সেক্রেটারির তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা রিসিট ও কাগজ পত্র জমাদান পুর্বক স্মার্ট কার্ড প্রদান করতে হবে। কার্ড ছাড়া কোন রকমে পাইকারী বিক্রয় করা যাবে না মর্মে কেন্দ্রীয় নেতারা বলেন প্রতিনিধি একটার বেশি সৌজন্য শিক্ষকদের দেওয়া যাবে না।অনিয়ম করার চেষ্টা করলে ঐ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় নীতি অনুযায়ী পাইকারী দোকানী বন্ধ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।
উল্লেখ্য দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে বদলে যাচ্ছে জীবনধারা।ডিজিটাল দেশ গড়ার প্রত্যয়ে বর্তমান সরকার কম্পিউটার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাধ্যতামুলক করার পাশাপাশি সৃজনশীল সংবলিত শিক্ষাক্রম পাঠ্য চালু করেছেন।
তারই ধারাবাহিকতায় নতুন ধারায় পাঠ্য অন্তভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যা সহায়ক পাঠ্য বই হিসাবে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশন ও বিক্রেতা সমিতি প্রশ্নের মানবন্টনে নোট গাইড বাজারে ছেড়েছে।
কোন রকমের প্রতারনা ক্রেতার হয়রানি ঠেকাতে ২০২০ সালে গায়ের দাম নির্ধারন করেছেন।সেই ধারাবাহিকতায় "বই যদি হয় মনের মতো কিনতে হবে সময় মতো-গায়ের দামে বই কিনি আলোকিত দেশ গড়ি।।"" এ স্লোগান কে সামনে রেখে (২০২০ সালে) গায়ের দামে বই বিক্রয় করার উদাত্ত আহবান জানান।