টাঙ্গাইলে হোম কোয়ারেন্টাইনে ১৬০ প্রবাসী - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

শুক্রবার, মার্চ ২০, ২০২০

টাঙ্গাইলে হোম কোয়ারেন্টাইনে ১৬০ প্রবাসী


জাহাঙ্গীর আলম, টাঙ্গাইল:
টাঙ্গাইল জেলা সদর সহ ১২টি উপজেলায় বৃহস্পতিবার(১৯ মার্চ) সকাল ১০টা পর্যন্ত মোট ১৬০ জন প্রবাসী হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে। এছাড়া নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষ হওয়ায় ১১ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ ও উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ তাদেরকে পর্যবেক্ষণে রেখেছে। এদের মধ্যে চীন, ইতালী, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর প্রবাসীর সংখ্যা বেশি। 

জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় ১৫, নাগরপুরে ৬ জন, দেলদুয়ারে ৬ জন, সখীপুরে ২৪ জন, মির্জাপুরে ৭৭ জন, বাসাইলে ১ জন, কালিহাতীতে ২ জন, ঘাটাইলে ২ জন, মধুপুরে ১ জন, ভূঞাপুরে ২ জন, গোপালপুরে ১৯ জন, ধনবাড়ী উপজেলার ৫ জনকে  কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। 

টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ওয়াহীদুজ্জামান জানান, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত জেলায় মোট ১৭১ জন বিদেশ ফেরতকে হোম করেন্টাইনের আওতায় আনা হয়েছিল। এর মধ্যে নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ায় ১১ জনকে হোম করেন্টাইন থেকে অবমুক্ত করা হয়েছে। হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা ব্যক্তিরা সবাই বিদেশ ফেরত। এদের মধ্যে চীন, ইতালী, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর, দুবাই, ভারত, ওমান ফেরত প্রবাসী রয়েছে। হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা কারোই জ্বর ও সর্দি কাশি নেই। তবে করোনা সংক্রমনে নিরাপত্তার জন্য সবাইকে ১৪ দিনের জন্য হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। 

তিনি জানান, করোনা ভাইরাস মোকাবিলা বা প্রতিরোধে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সব হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে চিকিৎসক ও নার্স প্রস্তত রাখা হয়েছে। করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের জন্য জেনারেল হাসপাতালে আলাদা করে ৮০ জনের একটি আইসোলেশন ইউনিট খোলা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিটি উপজেলা কমপ্লেক্সে আলাদা ওয়ার্ডে গড়ে ৫টি করে বেড রাখা হয়েছে। অপরদিকে প্রতিটি উপজেলায় একটি টিমসহ মোট ১৪টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। 

সিভিল সার্জন আরো জানান, এখন পর্যন্ত টাঙ্গাইলে করোনা ভাইরাসে কেউ আক্রান্ত হয়নি।  করোনা ভাইরাস নিয়ে ভয় বা আতঙ্কের কিছু নেই। তবে সবাইকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। বিশেষ করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা, সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, জ্বর-সর্দি-কাশি, গলা ও শরীর ব্যথা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। করোনা ভাইরাস সম্পর্কে মানুষকে সচেতনের জন্য প্রচার-প্রচারণা তথা পোস্টার ও মাইকিং কার্যক্রম করা হচ্ছে। বিদেশ ফেরত বা বিদেশি নাগরিকদের প্রতি বিশেষ নজরদারি রাখা হয়েছে।

Post Top Ad

Responsive Ads Here