ফরিদপুরের দাদপুর ইউনিয়নে সরকারি রাস্তার গাছ কাটার অভিযোগ - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

শিরোনাম

Wednesday, May 27, 2020

ফরিদপুরের দাদপুর ইউনিয়নে সরকারি রাস্তার গাছ কাটার অভিযোগ

ফরিদপুর প্রতিনিধি :      

প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া আম্পান ঝড়ে পড়ে থাকা সরকারি রাস্তার গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার দাদপুর ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। তবে গাছ কাটার অভিযোগ প্রতিপক্ষের সৃষ্টি বলে উল্টো অভিযোগ করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মোশারফ হোসেন।   

ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের। স্থানীয়দের অভিযোগে ভিত্তিতে উপজেলা প্রশাসন অবৈধভাবে কাটা গাছের গুড়িগুলো জব্দ করেছে।

দাদপুর গ্রামের ব্যবসায়ী বাবুল মিয়া অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন সময় ইউনিয়নের সড়ক গুলো উপর সরকারি গাছ গোপনে কেটে বিক্রয় করে চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, গাছ গুলো ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রয় করা পরে তার নেওয়ার সময় এলাকাবাসী আটক করে স্থানীয় প্রশাসনকে জানায়। বিষয়টি এলাকাবাসী প্রশাসনকে জানালে সরকারি লোক এসে তা জব্দ করে।

দাদপুর ইউনিয়নের দাদপুর গ্রামের মোঃ বাশার শেখ জানান, উপজেলার ময়েনদিয়া-কানাইপুর (এলজিডি’র) সড়কের দাদপুর এলাকায় রাস্তার উপর থাকা মরা গাছ চেয়ারম্যানকে ঝড়ের আগে গাছ কাটার কথা বললেও সে আমাদের কথা শুনেনি। এখন তারাহুরা করে সে এই গাছগুলো কেটে নিয়ে গিয়েছে বিক্রি করার জন্য বলে তিনি অভিযোগ করেন।

ক্ষতিগ্রস্থ সেকেন মোল্যা বলেন, ঝড়ে আমার ঘরের উপরে গাছ পড়ে আমার বসত ঘরটি ভেঙ্গে যায়। ঘরটি ভেঙ্গে পড়ার কারনে আমার পরিবার নিয়ে রান্না ঘরে বসবাস করি। গত ২৫ মে আমি চেয়ারম্যানের কাছে গিয়ে সব কিছু খুলে বললে চেয়ারম্যান আমার বাড়িতে এসে ঘুরে দেখে আমাকে বলেন, গাছ কেটে ইউনিয়ন পরিষদে দিয়ে আসবা এবং গাছ কাটার লিভারের মুজুরি আমি দিয়ে দিবো।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, দাদপুর এলাকার সেকেন আমার কাছে এসে বলে ঝড়ে শিশু গাছ পড়ে আমার বসত ঘরটি ভেঙ্গে গেছে। আমি পরিবার নিয়ে ঘরে থাকতে পারিছ না। এই ঝড় বৃষ্টির দিন কোথায় যাব। গাছ না কেটে ঘরটি সংস্কার করতে পারছি না। আমি সরোজমিন ঘুরে দেখে তাকে বলেছি গাছ কেটে আমার পরিষদে পাঠিয়ে দিয়েন। আর গাছ কাটার লিভারের টাকা আমি দিয়ে দিবো। তিনি আরও বলেন, ওই গাছ নিয়ে আমার এলাকার আমার প্রতিপক্ষ আমার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র করছে। আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে আমার জনপ্রিয়তা নষ্ট করার চেষ্টা করছে। তারা বলে বেড়াচ্ছে চেয়ারম্যান গাছ কেটেছে। আমি এই অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও ঘৃনা জানায়।

বোয়ালমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন মুসা বলেন, আমি বিষয়টি অবগত হয়েছি। এখন তদন্ত করে দেখা হবে বিষয়টি কতটুকু সত্য।

এ বিষয়ে বোয়ালমারী নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দ জানান, চেয়ারম্যান গাছ গুলো আমাদের কাছে না শুনেই কেটে ফেলেছে। তার উদ্দেশ্য কি ছিলো সেটা তিনিই ভালো বলতে পারবেন। তবে সে আমাদের কাছে শুনে কাটা উচিত ছিলো। এবিষয়টি এখন তদন্ত করে দেখা হবে বলে তিনি জানান।

এদিকে এরই ভিতর স্থানীয় তহশিল অফিস থেকে একটি তদন্ত দল সরোজমিনে তদন্ত করে গিয়েছে বলে জানান চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন।

No comments: