ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে পাঁচটি সংঘর্ষে আহত ৩০, অর্ধশতাধিক বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাট

ফরিদপুর প্রতিনিধি :
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় পৃথক ৫টি সংঘর্ষে বাড়িঘর ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এসব সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে গুনবহা ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ছিরুসহ ১০জনকে আটক করেছে পুলিশ।

জানা গেছে, উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের উমরনগর গ্রামের এক নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য দাউদ শেখ ও গুনবহা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ছিরু’র মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে সিরাজুল ইসলাম ছিরু ও দাউদের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় দাউদ গ্রæপের ২০টি বাড়িঘর ভাংচুর করা হয়। সংঘর্ষে দুই গ্রæপের ১৮ জন আহত হয়।

এদিকে উপজেলার চতুল ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও উপজেলা আ’লীগের সদস্য জালাল সিকদার ও সাবেক ইউপি সদস্য রহমান শেখের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল। বৃহস্পতিবার ভোর ৬টায় রহমান গ্রæপের সমর্থক ইমদাদুল খা (৩৫) বনচাকী কবরস্থান থেকে বাবার কবর জিয়ারত শেষে বাড়ি ফেরার পথে রামচন্দ্রপুর বাজারে জালাল সিকদারের সমর্থকরা তার উপর হামলা চালিয়ে মারাত্মক আহত করে। এ ঘটনার জেরে সকাল সাড়ে ১০টায় জালাল সিকদারের সমর্থকরা দেশী অস্ত্রে সজ্বিত হয়ে প্রতিপক্ষের বাড়ি ঘরে হামলা চালালে উভয় পক্ষের সংঘর্ষে ৩০টি বাড়িঘর ভাংচুর করে। এসময় অন্তত ১৫ জন আহত হয়।

একইদিন উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের বাজিদাদপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দাদপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শামীম মোল্যা ও মওলা গ্রæপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এর ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় উভয় গ্রæপের সংঘর্ষে ইসহাক মোল্যা (৫৫) ও জাহাঙ্গীর মোল্যা (৫০)সহ ৭ জন আহত হয়। ওইদিন সকাল সাড়ে ১১টায় বোয়ালমারী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কুশাডাঙ্গায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় ৫ জন আহত হয়েছে।

অপরদিকে উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের হরিহরনগর ও দীঘিরপাড় গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সংঘর্ষে প্রায় ১৭ বাড়ি ভাংচুর করা হয়। গুনবহা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মঞ্জুর হোসেন ও গুনবহা ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহŸায়ক বাকির মোল্যার মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে বুধবার সন্ধ্যায় মঞ্জুর হোসেন ও সাহেব আলীর নেতৃত্বে প্রায় শতাধিক লোক প্রতিপক্ষ বাকির মোল্যার সমর্থকদের বাড়িঘরে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে। ক্ষতিগ্রস্তরা জানায়, সম্প্রতি সাহেব আলী ইউপি সদস্য মঞ্জুর হোসেনের দলে যোগ দেয়ায় শক্তি বৃদ্ধি পায়, শক্তি প্রদর্শন করতেই তারা সংঘবদ্ধ হয়ে হামলা চালিয়ে লুটপাট করে।

এসব সংঘর্ষের ঘটনায় গুরত্বর আহত ইসহাক মোল্যা (৫০), আইয়ুব মোল্যা (৬৫), হাসমত (৩৮), লিয়াকত মোল্যা (৬৫), পান্নু আমিন (৪৫), রাফেজা বেগম (২৮), তাসলিমা (৩০) কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে।

বোয়ালমারী থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আমিনুর রহমান বলেন, সকালে ৪-৫ ঘন্টার মধ্যে চারটি সংঘর্ষের এলাকায় ঘটনাস্থলে পৌছে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ফরিদপুরের পাঁচটি সংঘর্ষে আহত ৩০,
অর্ধশতাধিক বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাট
ফরিদপুর প্রতিনিধি ঃ
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় পৃথক ৫টি সংঘর্ষে বাড়িঘর ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এসব সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে গুনবহা ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ছিরুসহ ১০জনকে আটক করেছে পুলিশ।

জানা গেছে, উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের উমরনগর গ্রামের এক নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য দাউদ শেখ ও গুনবহা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ছিরু’র মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে সিরাজুল ইসলাম ছিরু ও দাউদের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় দাউদ গ্রæপের ২০টি বাড়িঘর ভাংচুর করা হয়। সংঘর্ষে দুই গ্রæপের ১৮ জন আহত হয়।

এদিকে উপজেলার চতুল ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও উপজেলা আ’লীগের সদস্য জালাল সিকদার ও সাবেক ইউপি সদস্য রহমান শেখের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল। বৃহস্পতিবার ভোর ৬টায় রহমান গ্রæপের সমর্থক ইমদাদুল খা (৩৫) বনচাকী কবরস্থান থেকে বাবার কবর জিয়ারত শেষে বাড়ি ফেরার পথে রামচন্দ্রপুর বাজারে জালাল সিকদারের সমর্থকরা তার উপর হামলা চালিয়ে মারাত্মক আহত করে। এ ঘটনার জেরে সকাল সাড়ে ১০টায় জালাল সিকদারের সমর্থকরা দেশী অস্ত্রে সজ্বিত হয়ে প্রতিপক্ষের বাড়ি ঘরে হামলা চালালে উভয় পক্ষের সংঘর্ষে ৩০টি বাড়িঘর ভাংচুর করে। এসময় অন্তত ১৫ জন আহত হয়।

একইদিন উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের বাজিদাদপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দাদপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শামীম মোল্যা ও মওলা গ্রæপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এর ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় উভয় গ্রæপের সংঘর্ষে ইসহাক মোল্যা (৫৫) ও জাহাঙ্গীর মোল্যা (৫০)সহ ৭ জন আহত হয়। ওইদিন সকাল সাড়ে ১১টায় বোয়ালমারী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কুশাডাঙ্গায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় ৫ জন আহত হয়েছে।

অপরদিকে উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের হরিহরনগর ও দীঘিরপাড় গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সংঘর্ষে প্রায় ১৭ বাড়ি ভাংচুর করা হয়। গুনবহা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মঞ্জুর হোসেন ও গুনবহা ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহŸায়ক বাকির মোল্যার মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে বুধবার সন্ধ্যায় মঞ্জুর হোসেন ও সাহেব আলীর নেতৃত্বে প্রায় শতাধিক লোক প্রতিপক্ষ বাকির মোল্যার সমর্থকদের বাড়িঘরে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে। ক্ষতিগ্রস্তরা জানায়, সম্প্রতি সাহেব আলী ইউপি সদস্য মঞ্জুর হোসেনের দলে যোগ দেয়ায় শক্তি বৃদ্ধি পায়, শক্তি প্রদর্শন করতেই তারা সংঘবদ্ধ হয়ে হামলা চালিয়ে লুটপাট করে।

এসব সংঘর্ষের ঘটনায় গুরত্বর আহত ইসহাক মোল্যা (৫০), আইয়ুব মোল্যা (৬৫), হাসমত (৩৮), লিয়াকত মোল্যা (৬৫), পান্নু আমিন (৪৫), রাফেজা বেগম (২৮), তাসলিমা (৩০) কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে।

বোয়ালমারী থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আমিনুর রহমান বলেন, সকালে ৪-৫ ঘন্টার মধ্যে চারটি সংঘর্ষের এলাকায় ঘটনাস্থলে পৌছে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।