লিবিয়ায় গুলিতে নিহত ফরিদপুরের কামরুলের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

শিরোনাম

Saturday, May 30, 2020

লিবিয়ায় গুলিতে নিহত ফরিদপুরের কামরুলের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম


ফরিদপুর প্রতিনিধি :    
ফরিদপুরের সালথা উপজেলার বল্লবদি ইউনিয়নের আলমপুর গ্রামে গত ২৮ মে লিবিয়ায় গুলিতে নিহত কামরুল ইসলাম এর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। গতকাল এই খবর তাদের বাড়িতে আসার পর থেকে তাদের পরিবার ও আশে পাশের প্রতিবেশিরা শোকে মূহুমান হয়ে পড়েছে। তিন ওই এলাকার কবির শেখের পুত্র। কামরুলকে হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে পুরো পরিবার। লিবিয়ায় মানব পাচারকারীদদের গুলিতে নিহত ২৬ বাংলাদেশির মধ্যে রয়েছেন কামরুল(২৮)। টেলিভিশন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার মৃত্যুর খবর জানার পর থেকে পরিবারে চলছে এখন শোকের মাতম। 

নিহত কামরুলের স্ত্রী রীনা বেগমের পাশাপাশি দুই বছরের ছেলে রমজান মাতা পিতা নিয়ে তার সংসার। এখন তাদের বাচাঁর শেষ অবলম্বন হাড়িয়ে পথের ফকির কিভাবে চলবে তাদের জীবন এ চিন্তা দিশেহারা। এখন তারা নিহতদের লাশ দ্রুত ফিরে পাওয়ার পাশাপাশি সরকারী সহযোগীতার কামনা করছেন। এলাকাবাসীও সরকারের সহযোগীতার পাশাপশি দালাল চক্রের উপযুক্ত বিচার দাবী করছে।

নিহত কামরুলের পিতা কবির শেখ কান্না জরিত কন্ঠে বলেন, অভাব অনটনের সংসার। আশা ছিলো ছেলেকে বিদেশে পাঠায়ে যদি একটু সুখের মুখ দেখা যায়। সেই আশা নিয়ে দালালের কথা মতো সমিতি থেকে লোন ও জমি বিক্রির সাড়ে চার লাখ জোগার করে গত ডিসেম্বর (পাচঁ মাস) মাসে ছেলেকে পাঠিয়েছিলেন বিদেশে। ছেলের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের পাশাপাশি পরিবারের স্বচ্ছ্বলতার কথা ভেবেই তাকে বিদেশ পাঠানোর তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কবির শেখ। কিন্তু স্বপ্ন পূরণতো দূরের কথা উল্টো লিবিয়া থেকে দালালরা ফোন করে ১০ লাখ টাকা দাবি করে আসছিলো কিছুদিন যাবত। তিনি বলেন পাশের গোপালগঞ্জ জেলার মোকসেদপুর থানার গোয়ালা গ্রামের দালাল আব্দুর রব এর মাধ্যমে ভারত ও দুবাই হয়ে লিবিয়ায় পৌঁছান কামরুল।    


নিহতের বড় ভাই ফারুক শেখ জানান, দালাল চক্র লিবিয়ার একটি শহরে তাকে আটকে রেখে নির্যাতন শুরু করে। তাদের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে পাচারকারী চক্রটি। ভাইয়ের জীবনের কথা ভেবে টাকা দিতে রাজিও হন তারা। কিন্তু টাকা পাঠানোর আগেই খবর এলো দালাল চক্র লিবিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় মিজদা শহরে কামরুলসহ ২৬ বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করেছে।


সালথা উপজেলার নির্বাহী অফিসার হাসিব সরকার বলেন, আমরা উপজেলা প্রশাসনের তরফ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করবো ওই পরিবারকে। জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে কামরুলের মরদেহ আইনী প্রক্রিয়া শেষে দ্রুত দেশে আনার জন্য ব্যবস্থা গ্রহন করার উদ্যোগ করা হবে। এছাড়া যে দালাল চক্রের দ্বারা এমন ঘটনা ঘটেছে তাদের কে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও তিনি জানান।

No comments: