সোমবার থেকে কিছু অর্থনৈতিক কার্যক্রমও চালু করেছে ফ্রান্স। তবে দ্বিতীয়বারের মতো ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব যাতে না ছড়ায় সেটি নিয়ে সতর্ক রয়েছে দেশটি।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বের পঞ্চম সর্বাধিক মৃত্যুর দেশ ফ্রান্স। দেশটিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ধাপে ধাপে কর্মক্ষেত্রে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। খুলতে শুরু করেছে স্কুলগুলোও। সরকারের অনুমতি ছাড়াই এখন বাড়ির বাইরে বের হতে পারবেন দেশটির প্রায় ৬৭ মিলিয়ন মানুষ।
সোমবার সকাল থেকেই যানবাহনের চলাচল বেড়েছে দেশটির রাজধানী প্যারিসে। তবে দোকানপাট খোলার আগেই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে ব্যস্ত ছিলেন কর্মীরা।
স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় ভিড় কিছুটা কম ছিল প্যারিসের মেট্রোলাইনে। মেট্রোতে চলাচল করতে যাত্রীদেরকে মাস্ক পরিধান করতে হয়েছে। এছাড়া সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে চিহ্নিত করে রাখা নির্দিষ্ট আসনেও বসতে হয়েছে তাদের।
মহামারি করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে আট সপ্তাহ ধরে লকডাউনে ছিল ফ্রান্স। খাবার, ওষুধের মতো জরুরি প্রয়োজনীয় দোকান ছাড়া অন্যান্য সব বন্ধ ছিল দেশটিতে।
আন্তর্জাতিক জরিপকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ফ্রান্সে এখন পর্যন্ত ২৬ হাজার ৩৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এপ্রিল মাসে সংক্রমণ ও নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (ইউসিইউ) থাকা রোগীদের সংখ্যা কমতে থাকায় লকডাউন তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
সূত্র- রয়টার্স
সময়/বিদেশ/রাজ