কুয়াকাটায় ঢাকা থেকে আসা (৪)শিশু উদ্ধার, পুলিশের দৃঢ়তায় অভিভাবকের কাছে হস্তান্তর - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

শনিবার, জুন ২৭, ২০২০

কুয়াকাটায় ঢাকা থেকে আসা (৪)শিশু উদ্ধার, পুলিশের দৃঢ়তায় অভিভাবকের কাছে হস্তান্তর

রাসেল কবির মুরাদ , কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি ঃ 
 বৃহস্পতিবার রাতে কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত এলাকায় দায়িত্ব পালন করছিল মহিপুর থানা পুলিশের  এসআই সাইদূরের নেতৃত্বে  থানা পুলিশের একটি টহল দল। হঠাৎ তাদের চোখ পড়ে ৪ কিশোর-কিশোরীর উপর। তারা মোবাইল ও ট্যাব বিক্রি করার চেষ্টা করছিল। এসআই সাইদুরের মনে সন্দেহ জাগে। সে তার সঙ্গীদের নিয়ে এগিয়ে যায় তাদের দিকে। পুলিশ দেখে প্রথমে ঘাবড়ে গেলেও পরে পুলিশের কথায় ও ব্যবহারে তারা আস্থা ফিরে পায়। তারা জানায় না খেয়ে আছে জানতে পেরে প্রথমে তাদের কিছু শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। এরপর পুলিশের টহল দলটি তাদের মহিপুর থানায় নিয়ে প্রাথমিক পরিষেবা দিয়ে খাবার সহ আনুষঙ্গিক ব্যবস্থা নেয় এবং শিশুবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা হয়। পরবর্তীতে ফোন করে অভিভাবকগণদের সাথে কথা বলানোর ব্যবস্থা করা হয় অভিভাবকগণদের মহিপুর থানায় আসতে বলা হয়। এরপর মহিপুর থানা পুলিশ ডিএমপি'র কামরাঙ্গীরচর থানা এবং ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশের মাধ্যমে প্রকৃত অভিভাবক সম্পর্কে নিশ্চিত হন।

এ সময় শিশু সুমাইয়া (১৩) জানায়, সে ও তার প্রতিবেশী অপর শিশু তাসিব (১৩) ঢাকার কামরাঙ্গীরচর এলাকায় পরিবারের সাথে বসবাস করে। গত ২২ জুন সকাল ১০ টায়  সুমাইয়া তার নানির লকার থেকে টাকা নিয়ে তাসিবের সাথে বাসা থেকে বের হয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে রাতে সদরঘাট চলে আসে। সেখান থেকে রাত ১১ টায় শরীয়তপুরগামী লঞ্চে ওঠে তারা । লঞ্চে তাদের সাথে ইয়াসিন (১৬) ও ইব্রাহিম (১৬) এর পরিচয় হয় ও সখ্যতা গড়ে ওঠে। ২৩ জুন  ভোরে তারা নড়িয়া লঞ্চঘাটে নামে এবং সারাদিন নড়িয়া এলাকায় ঘুরে ফিরে কাঁটায়। বিকেলে ৪ জন আবার নড়িয়া থেকে ঢাকাগামী লঞ্চে ওঠে এবং রাত ০৮.০০ টায় সদরঘাটে পৌছায়। এরপর তারা বরিশাল হয়ে কুয়াকাটা যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং বরিশালের লঞ্চে ওঠে ২৪ জুন  তারিখ সকালে বরিশাল পৌছে সেখান থেকে বাসে করে কুয়াকাটা আসে এবং কুয়াকাটায় এসে  রাতে তারা একটি হোটেলে থাকে। সকালে সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে বের হয়ে টাকা শেষ হয়ে গেলে সারা দিন না খেয়ে কাটায়। উপায়ন্তর না পেয়ে তারা সঙ্গে থাকা মোবাইল ও ট্যাব বিক্রি করে ক্ষুধা নিবারণ  ও যাতায়াতের টাকা সংগ্রহের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এ পর্যায়ে তারা পুলিশের সংস্পর্শে আসে। 

শুক্রবার শেষ বিকেল তাদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের সামনে নিজ নিজ অভিভাবকের নিকট হস্তান্তর করে মহিপুর থানা পুলিশ । এ সময় থানা প্রাঙ্গণে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয় এবং অভিভাবকগণ তাদের সন্তানদের ফিরে পেয়ে আনন্দে অশ্রুসজল চোখে মহিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামানের প্রতি  কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।



27-06-2020 (AT)

Post Top Ad

Responsive Ads Here