সময় সংবাদ ডেস্ক//
বর্ণবাদী অপবাদ ঘোঁচাতে প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রদূত হিসেবে এক আরব বেদুইনকে নিয়োগ দিয়েছে ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরাইল।
আরবের মেষ পালক গোত্র থেকে উঠে আসা প্রচণ্ড মেধাবী এই আরব মুসলিমের নাম ইসমাইল খালেদি।
সম্প্রতি ইসরাইল ৩ নারীসহ যে ১১ জন কূটনীতিককে নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে তাদের মধ্যে একজন হচ্ছেন ইসমাইল খালেদি।
তবে তাকে এ পর্যায়ে পৌঁছোতে অনেক সংগ্রামের ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইসরাইলে আরব বেদুইনদের বৈষম্যের বিষয়টি ফলাও করে বিশ্ববাসীকে জানিয়েছেন তিনি।
ক্ষমতাসীন লিকুদ পার্টির আস্থাভাজন এ আরব বেদুইন ২০০৪ সাল থেকে ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ পান। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকো কনসুলেট এবং যুক্তরাজ্যের ইসরাইলি দূতাবাসেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
সম্প্রতি তাকে আফ্রিকার দেশ এরিত্রিয়ার রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে ইসরাইল।
আরব বেদুইনদের অধিকার আন্দোলনে বরাবরই সরব ছিলেন খালেদি।২০১৭ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া পেস্টে তিনি বলেন, আরব বেদুইনদের তাদের অধিকার আদায়ে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।
প্রয়োজনে ইসরাইলে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে যাওয়া উচিৎ।একজন কূটনীতিক হয়েও তার দেশের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে কথা বলতে পিছ পা হননি ইসমাইল খালেদি।
ইসরাইলের হাইফা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি এবং তেলআবিব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন খালেদি।
'অ্যা শেফার্ডস জার্নি: দ্য স্টোরি অফ ইসরাইলস ফার্স্ট বেদুইন ডিপ্লমেট' নামে গত জুনে একটি বই প্রকাশিত হয় খালেদির।এতে একজন মেষ পালক থেকে কিভাবে তিনি গুরুত্বপূর্ণ কূটনীতিক হয়ে উঠেছেন- সেই কথা বর্ণনা করেছেন।
তার ওই আত্মজীবনীতে ইসরাইলের বর্ণবৈষম্যের কথাও তুলে ধরেছেন।জেরুজালেমের কেন্দ্রীয় বাস স্টেশনে একবার তাকে এক নিরাপত্তা কর্মী কালো বলে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দিয়ে ছিলেন- এ কথাও তিনি লিখেছেন বইটিতে।