সময় সংবাদ ডেস্ক//
পাবনার চাটমোহরে যৌতুকের কারণে গৃহবধূ কল্পনা রানী পালকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় স্বামী নিরঞ্জন পাল ওরফে নিরুকে আটক করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি স্বীকার করেন তিনি।
স্থানীয়রা জানায়, প্রায় ২৬ বছর আগে কল্পনা রানীকে বিয়ে করেন নিরঞ্জন। দুই ছেলে দিনাজপুরে থাকায় স্বামী-স্ত্রী বাড়িতে থাকতেন। চায়ের দোকানের আয় দিয়ে তাদের সংসার চলে। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী কল্পনা রানীকে বেধড়ক মারধর করতেন নিরঞ্জন। বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনতে মাঝেমধ্যেই চাপ দিতেন তিনি। রোববার এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর কথা-কাটাকাটি হয়।
স্ত্রীর ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে রোববার রাত সাড়ে আটটায় নিজের চায়ের দোকান থেকে গোপনে বাড়িতে আসেন নিরঞ্জন। শোয়ার ঘরে ঢুকেই স্ত্রী কল্পনা রানীকে মারধর করেন। একপর্যায়ে মুখ চেপে ধরে ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে দোকানে ফিরে যান তিনি। রাত সাড়ে ১১টায় বাড়ি ফিরে নিরঞ্জন চিৎকার করতে থাকেন। এ সময় প্রতিবেশীরা এসে কল্পনা রানীর মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে। তবে দুর্বৃত্তরা কল্পনা রানীকে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে বলে দাবি করেন নিরঞ্জন।
চাটমোহর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, নিরঞ্জন পালের হাতে কাটা চিহ্ন দেখে সন্দেহজনকভাবে আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্ত্রী হত্যার কথা স্বীকার করেন। এ ঘটনায় সোমবার সকালে নিরঞ্জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন নিহতের বাবা মনোরঞ্জন পাল। মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।