সময় সংবাদ ডেস্ক//
মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিদেশগামীদের কাছে করোনার ভুয়া নেগেটিভ সনদ বিক্রি করা সেই চিকিৎসকের করোনা পজিটিভি এসেছে। জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেফতার হয়ে চার মাসের জেল হওয়ার একদিনের মাথায় শাহ আলম নামে এ চিকিৎসকের দ্বিতীয় দফায় করোনা পজিটিভ আসে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওসমানী মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, ডা. শাহ আলম নিজেকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার বলে পরিচয় দিতেন। আর এ পরিচয় দিয়ে নমুনা পরীক্ষা না করেই দিতেন ভুয়া করোনা নেগেটিভ সনদ। এমন অভিযোগে রোববার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে তার চেম্বারে অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত শাহ আলমকে চার মাসের জেল ও এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো একমাসের সাজা দেয়। এরপর কোতোয়ালি থানার মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
জিজ্ঞাসাবাদ করার পর ডা. শাহ আলম নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন সিলেট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুনন্দা রায়।
এদিকে শনিবার দ্বিতীয় দফায় পরীক্ষার জন্য নিজের শরীরের নমুনা সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালের ল্যাবে দেন ডা. শাহ আলম। সোমবার রাতে তার করোনা পজিটিভ আসে।
এর আগে ১৩ জুলাই প্রথম দফায় ডা. শাহ আলমের করোনা শনাক্ত হয়। করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পরও তিনি নগরের মধুশহীদ এলাকায় ঢাকার ডায়াগনস্টিক সেন্টার মেডিনোভা মেডিকেল সার্ভিসেস লিমিটেডের নিচ তলায় রোগী দেখতেন। এছাড়া বিদেশগামীদের কাছে ভুয়া করোনা নেগেটিভ সনদ বিক্রি করতেন।