সময় সংবাদ ডেস্ক//
কর্মকর্তাদের না জানিয়ে অভিযানে গিয়ে কিশোর সালমান ইসলাম মারুফকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসাতে চেয়েছিলেন এসআই হেলাল খান। এ ঘটনায় মা ও বোনকে লাঞ্ছনার পর আত্মহত্যা করেন চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের বড় মসজিদ গলির এই কিশোর।
পুলিশের তদন্তেই এমন তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে এসআই হেলালকে বরখাস্তের সুপারিশ করা হয়। এরপর ডবলমুরিং থানার এসআই হেলালকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
সোমবার বিকেলে সিএমপি কমিশনার মাহাবুবর রহমানের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন কমিটির প্রধান নগর গোয়েন্দা বিভাগের ডিসি (পশ্চিম) মোহাম্মদ মনজুর মোর্শেদ।
১৮ পৃষ্ঠার ওই তদন্ত প্রতিবেদনে ঘটনার পূর্বাপর তুলে ধরা হয়। মারুফের পরিবারের সদস্যসহ স্থানীয় সংশ্লিষ্ট ১৭ জন এবং ১৫ জন পুলিশ সদস্যের সঙ্গে কথা বলেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা।
তদন্ত কমিটির প্রধান মনজুর মোরশেদ বলেন, সেদিন এসআই হেলাল ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাননি। থানায় এ সংক্রান্ত কোনো জিডি এন্ট্রি নেই। অভিযানে কোনো পুলিশ কর্মকর্তা যেতে হলে এ সংক্রান্তে থানায় জিডি করতে হয়।
তিনি বলেন, সিনিয়র কর্মকর্তাদের না জানিয়ে অভিযানে গিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছেন এসআই হেলাল। মারুফ ও তার মা-বোনকে মারধর করে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকিও দেয়া হয়। যার ফলে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এসআই হেলালকে বরখাস্ত করার সুপারিশের পাশাপাশি এ ঘটনায় থানার ওসির তদারকির ‘ঘাটতি ছিল’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, এক্ষেত্রে শৃঙ্খলা পূর্ণ আচরণ নিশ্চিত করতে পারেননি ওসি। এছাড়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। এসআই হেলালের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশও করেছে তদন্ত কমিটি।
বৃহস্পতিবার রাতে ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ এলাকার বড় মসজিদ গলিতে অভিযানে যান এসআই হেলাল। সেখানে পুলিশের সোর্সের সঙ্গে কথা কাটাকাটির জেরে মারুফের মা ও বোনকে থানায় নিয়ে আটকে রাখার অভিযোগ উঠে এসআই হেলালের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই রাতেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন মারুফ।