যুদ্ধবিরতি-নারী অধিকার রক্ষার আহ্বানে শুরু আফগান-তালেবানের শান্তি আলোচনা - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

শিরোনাম

Sunday, September 13, 2020

যুদ্ধবিরতি-নারী অধিকার রক্ষার আহ্বানে শুরু আফগান-তালেবানের শান্তি আলোচনা


সময় সংবাদ ডেস্ক//
কাতারে দুই পক্ষের শান্তি আলোচনা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আফগান সরকার তালেবানদের প্রতি মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে। এছাড়া দেশটিতে নারী অধিকার রক্ষার বিষয়টিও গুরুত্ব পেয়েছে আলোচনায়।

সরকারের প্রতিনিধি দলের নেতা আব্দুল্লাহ জোর দিয়ে বলেছেন, যুদ্ধের মাধ্যমে কেউ বিজয়ী হয় না। তালেবানরা যুদ্ধবিরতির কোনো কথা উল্লেখ করেনি। তাদের দাবি, ইসলামী আইনে চলতে হবে আফগানিস্তানকে।

দুই পক্ষকে সম্মতিতে পৌঁছাতে উৎসাহ দেয়া যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, পুরো বিশ্ব চায় আপনারা সফল হন।

শনিবার দোহায় এক হোটেলে শান্তি আলোচনার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সরকার দলের নেতৃত্ব দেন আফগানিস্তানের হাই কাউন্সিল ফর ন্যাশনাল রিকনসিলেশনের সভাপতি আব্দুল্লাহ। অন্য গুরুত্বপূর্ণ বক্তা ছিলেন তালেবানের ডেপুটি নেতা মোল্লা আব্দুল ঘানি বারাদার ও মার্কিন সেক্রেটারি অব স্টেট মাইক পম্পেও।

সামনে দুই পক্ষের মধ্যে মুখোমুখি আলোচনা শুরুর আগেই বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা তাদেরকে শিগগিরই যুদ্ধবিরতি ছাড়াও এমন একটি ঐক্যমতে আসার আহ্বান জানিয়েছে, যেখানে নারী অধিকারের বিষয়টি রক্ষিত হবে। এছাড়া তালেবানের ১৯ সদস্যের প্রতিনিধি দলে কোনো নারী না থাকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধের অবসানের দাবি করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনের কারণে তার এ প্রচারণা আরো জোরালো হয়েছে। এছাড়া চুক্তিতে পৌঁছাতে পারলে বিশাল অর্থ সহায়তা দেয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি। তাই বৈঠক শুরুর প্রথম দিনে কাতারে আসেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।

এদিন আলোচনায় মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে সরকারের প্রতিনিধি দলের নেতা আব্দুল্লাহ বলেছেন, আমি বিশ্বাস করি যদি আমরা একে অন্যের দিকে হাত বাড়ায় এবং শান্তির জন্য সততার সঙ্গে কাজ করি, তাহলে দেশের চলমান সংকটের শেষ হবে।

তিনি আরো বলেছেন, জনগণের মনে এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো উল্লেখযোগ্য উপায়ে সহিংসতা হ্রাস করা।

শান্তি আলোচনায় সব বিষয়ে দুই পক্ষ শতভাগ একমত নাও হতে পারে বলে মনে করেন আব্দুল্লাহ। সেক্ষেত্রে সমঝোতায় পৌঁছানো যেতে পারে বলে মত দিয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে বারাদার দেশের জন্য তার সংগঠনের দাবি তুলে ধরেন, আমরা চাই আফগানিস্তান স্বাধীন হোক, উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে দেখতে চাই। একই সঙ্গে এখানে ইসলামী প্রথা চালু হতে হবে, যেখানে সব নাগরিক তথা আদিবাসী ও নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে কোনো বৈষম্য থাকবে না।

চার দশক ধরে আফগানিস্তানে চলা যুদ্ধে এক লাখ ৬০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে বেসামরিক ১২ হাজার। এই সংঘাত নিরসনে শনিবার থেকে শুরু হয়েছে শান্তি আলোচনা। নিউইয়র্কে নাইন ইলেভেনের হামলার ১৯তম বর্ষপূর্তির একদিন পর এই ঐতিহাসিক আলোচনায় অংশ নিলো আফগান সরকার ও তালেবান। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসী হামলার পর আফগানিস্তানে সামরিক অভিযান চালায় মার্কিনিরা।



No comments: