ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাচনে বুথের সামনে ধুমপান - কালকিনি পৌরসভার উপসহকারি প্রকৌশলী রানার যত কান্ড - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

শিরোনাম

Wednesday, October 14, 2020

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাচনে বুথের সামনে ধুমপান - কালকিনি পৌরসভার উপসহকারি প্রকৌশলী রানার যত কান্ড



ফরিদপুর অফিস : 

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদের চেয়ারমান পদে উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক ও সুষ্ঠু পরিবেশে চরঅযোধ্যা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ চলছে। গত ১০ অক্টোবর সকাল সাড়ে নয়টার দিকের দৃশ্য। এরই মধ্যে  দোতলায় বুথের সামনে এক ব্যক্তিকে সন্দেহজনকভাকে ঘোরাফেরা করতে দেখেন সেখানে দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আল-আমিন। তিনি সহকারি কমিশনার(ভূমি) হিসেবে জেলা ভাঙ্গা উপজেলায় কর্তব্যরত রয়েছেন। ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করে ম্যাজিস্ট্রেট জানতে পারেন তিনি পোলিং হিসেবে কাজ করছেন। পরিচয় জানতে চাইলে কর্তব্যরত ম্যাজিস্ট্রেটকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে ধুমপান শুরু করে জানান তিনি এস এম লুৎফর ওরফে রানা মাদারীপুর জেলা কালকিনি পৌরসভার উপসহকারি প্রকৌশলীর চাকরি করেন। নির্বাচনী সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে ম্যাজিস্ট্রেট সঙ্গে সঙ্গে তাকে নিজের হেফাজতে নেন। এর পর স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য নিক্সন চৌধুরী ধৃত রানাকে নিজের লোক দাবি করে তাকে দ্রুত ছেড়ে দিতে চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও)কে নিজ ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর থেকে ফোন করে ওই ম্যাজিস্ট্রেটকে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ ভাষায় গালিগালাজ করেন। যা পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অডিও ভাইরাল হয়। সামগ্রিক পরিস্থিতিতে বিবেচনা করে এস এম লুৎফর ওরফে রানাকে মৌখিকভাবে সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়। 


পুরো বিষয়টি জেলা প্রশাসক অতুল সরকারকে লিখিত প্রতিবেদন দিয়ে  জানান ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আল-আমিন। 


ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সরকারি কর্মচারী হয়েও এসএম লুৎফর ওরফে রানা উপজেলা নির্বাচনে পোলিং এজেন্টের দায়িত্ব পালন করেছেন,  দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে সদাচরণ করেছেন, জাল ভোট প্রদানের অপচেষ্টা করেছেন। যা সরকারি কর্মচারী (অঅচরণ) বিধিমালা- ১৯৭৯, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা-২০১৩, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন(আচরণ) বিধিমালা ২০১৬  এবং সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা-২০১৮ এর সুস্পষ্ট লংঘন।  বিধিমালা লংঘনের দায়ে রানার বিরুদ্ধে আইনানুগ বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।


ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার জানান, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। 


বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, ওই সরকারি কর্মকর্তাকে ছাড়ানোর জন্য তিনি বারবার চেষ্টা করেন বলে জানা গেছে।





No comments: