ফরিদপুরে ‘ভূমি ও গৃহহীনদের জন্য গড়ে উঠছে স্বপ্ননীড়’ - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

শিরোনাম

Tuesday, November 17, 2020

ফরিদপুরে ‘ভূমি ও গৃহহীনদের জন্য গড়ে উঠছে স্বপ্ননীড়’



ফরিদপুর প্রতিনিধি :
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় নির্মিত হচ্ছে ভূমি ও গৃহহীনদের জন্য নির্মিত হচ্ছে স্বপ্ন নীড়। জেলায় একযোগে চলছে ১ হাজার ৪৭০ টি ঘরের নির্মাণ কাজ। প্রতিটি ভূমিহীন ও ঘরহীন পরিবারের জন্য থাকছে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট  আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত এ ঘর। আগামী ৩১শে ডিসেস্বরের মধ্যে নির্মান কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করছেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার। 


এ উপলক্ষে সোমবার জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার বুরাইচ ইউনিয়নের জয়দেবপুর গ্রামে নির্মানাধীন ঘরসমূহ পরিদর্শনে এসে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। পরিদর্শনের আগে তিনি ভূমি ও গৃহহীনদের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। 


জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য  দুই কক্ষ বিশিষ্ট সেমি পাকা  ঘর নির্মান কাজ চলছে। ফরিদপুর জেলার ৯ টি উপজেলায় এ নির্মান কাজ শুরু হয়েছে বেশ আগেই। ইতিমধ্যে কাজের অগ্রগতি হয়েছে। জেলার মোট ১ হাজার ৪৭০ টি ঘর নির্মান করা হচ্ছে। এর মধ্যে ফরিদপুর সদর উপজেলায় ২৯২ টি ঘর, আলফাডাঙ্গা উপজেলায় ২২০ টি ঘর, বোয়ালমারী উপজেলায় ৯২ টি ঘর, মধুখালী উপজেলায় ১৪৮ টি ঘর,  নগরকান্দা উপজেলায় ১০৫ টি ঘর, সালথা উপজেলায় ৩৫ টি ঘর, ভাঙ্গা উপজেলায় ২৫০ টি ঘর,  সদরপুর উপজেলায় ১৭৮ টি ঘর, চরভদ্রাসন উপজেলায় ১৫০ টি ঘর নির্মান করা হচ্ছে। প্রতিটি ঘর একটি করে পরিবারকে প্রদান করা হবে। শুধু ঘর নয়, ঘরের সাথে সাথে প্রতি পরিবারকে দেয়া হচ্ছে ২ শতাংশ করে জমি।


ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার এর সঠিক দিক নির্দেশনায় ভূমি ও গৃহহীনদের ঘর নির্মানে কাজ চলছে পূর্ন উদ্যোমে। আর এ জন্য তিনি প্রতিনিয়ত ঘুরে দেখছেন ৯টি উপজেলার এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত। আর এর সঠিকতা ধরে রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ প্রদান করছেন নির্মান কাজ গুলো পরিদর্শনে গিয়ে।


এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, ‘সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি। মূলত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নানা নিরাপত্তা দেওয়ার লক্ষ্যেই গ্রহণ করা হয়েছে এ প্রকল্প। দরিদ্র, অসহায় ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য কাজ করছে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি।’

No comments: