ওবায়দুল ইসলাম রবি রাজশাহী:
রাজশাহী চারঘাট উপজেলায় মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে গাছে বেধেঁ মধ্যযুগী কায়দায় এক শিশুকে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত নিজেই গাছে বেঁধা রাখার ছবি ফেসবুকে শেয়ার করেছে। উপজেলা ছাত্রলীগ সম্পাদক রায়হানুল হক রানার নেতৃত্বে শিশুকে উদ্ধার করেছে। বর্তমান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ওই শিশু চিকিৎসাধীন রয়েছে।
শুক্রবার বিকালে শখের বশে উপজেলা মেরামতপুর গ্রামের ছহিরের ছেলে তুষার (১১) শখের বসে বন্ধুদের সাথে পাশ^বর্তী জহিরুলের পুকুরে গোসল করতে নামে। পুকুরের মালিক মৃত জয়েন সরকারের ছেলে জহিরুল ইসলাম পুকুরে পৌছালে তুষারের অন্যান্য সহপাটিরা ঘটনাস্থল থেকে ভয়ে পলিয়ে যায়। কিন্ত শিশু তুষার কে ধরে ফেলে পুকুর মালিক। পরে পুকুর পারের একটি গাছের সাথে শিশু তুষারকে বেঁধে মধ্যযুগী কায়দায় বেদম প্রহার করতে থাকে। ওই গাছে বাঁধা শিশুর ছবিটি অভিযুক্ত নিজেই তার ফেসবুকে শেয়ার করেছে। অভিযুক্ত, জহিরুল তার বিরুদ্ধে আনিক অভিযোগের বিষয়ে কোন বক্তব্য দেয়নি।
উপজেলা ছাত্রলীগ সম্পাদক রায়হানুল হক রানা সন্ধা ৬.৪৫টার সময় মোবাইল বার্তার মাধ্যমে এই পত্রিকার প্রতিবেদককে বলেন, স্থানীয় সমশেরের ছেলে শহিদুল, মৃত ইলিয়স মন্ডলের ছেলে ইউসব এবং মোস্তফার স্ত্রী সোহাগী মর্মান্তি শিশু নির্যাতনের ঘটনাটি দেখেছে। বিভিন্ন মারফতে শিশু নির্যাতনের বিষয়টি অবগত হওয়ার পরে সংঘঠনের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে আহত অবস্থায় শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।
শুক্রবার রাত ৭.৪৫টার সময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর কর্তব্যরত চিকিৎসক মোঃ আতিক জানান, তুষার নামে একটি শিশু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছে। তার শরীরে অনেক আঘাতের চিহৃ দৃশ্যমান। প্রয়োজনিয় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে, দ্রæত সুস্থ হয়ে উঠবে শিশুটি। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিশুদেরকে আঘাত করাটা খুবই নিন্দনীয় অপরাধ। এবিষয়ে শুক্রবার রাত ৮টার সময় চারঘাট মডেল থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম এই পত্রিকার সাংবাদিককে বলেন, শিশু নির্যাতন একটি গুরত্বর অপরাধ। বিষয়টি তিনি শুনেছেন, থানা পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন।