সংক্রমণ ঝুঁকি ও অতিরিক্ত ভাড়া সত্ত্বেও ঢাকামুখী অসংখ্য মানুষ - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

বুধবার, মে ১৯, ২০২১

সংক্রমণ ঝুঁকি ও অতিরিক্ত ভাড়া সত্ত্বেও ঢাকামুখী অসংখ্য মানুষ


 

সময় সংবাদ ডেস্কঃ


করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি সত্ত্বেও ঈদের ছুটি কাটিয়ে ঢাকা ফিরছে অসংখ্য মানুষ। অতিরিক্ত ভাড়া ও গাদা গাদি করে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের চাপ রয়েছে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ও মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া নৌপথে। 

বুধবার সরেজমিনে দেখা গেছে, আজ ভোর থেকে এ নৌপথে ছোট-বড় মিলিয়ে ১৮টি ফেরি চলাচল করছে। যাত্রাপথে ফেরিসহ নানা পরিবহনে স্বাস্থ্যবিধির একেবারেই তোয়াক্কা নেই তাদের মধ্যে।


এদিকে যাত্রীদের অভিযোগ, শিমুলিয়া ঘাট থেকে ঢাকায় যাওয়ার জন্য সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, পিকআপ ভ্যান, মোটরসাইকেল ও ভাড়াচালিত ব্যক্তিগত গাড়ি আছে।


তবে যাত্রীরা বলছেন, দূরপাল্লার বাস চলাচল না করার তাদের বার বার যানবাহন পরিবর্তনের ফলে ভোগান্তির শেষ নেই। এছাড়া অতিরিক্ত ভাড়াও দিতে হচ্ছে। অথচ এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কারো তদারকি নেই।


রাকিবুল ইসলাম নামের এক যাত্রী বলেন, সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে হলেও কর্মস্থলে ফিরতে হচ্ছে। স্বাভাবিক সময়ে শিমুলিয়া ঘাট থেকে ঢাকার পোস্তগোলা পর্যন্ত অটোরিকশা ভাড়া জনপ্রতি ছিল ১২০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা। এখন নেয়া হচ্ছে ৩০০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত।


তিনি আরো জানান, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় শিমুলিয়া ঘাট থেকে কদমতলী পর্যন্ত ১৫০ টাকা ও পিকআপ ভ্যানে জনপ্রতি ১০০ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত রাখা হচ্ছে।


রুমি আহমেদ নামে অপর এক যাত্রী জানান, শিমুলিয়া ঘাট থেকে মুক্তারপুর পর্যন্ত স্বাভাবিক সময়ে অটোরিকশায় জনপ্রতি ভাড়া ১০০ টাকা। এখন যাত্রীদের জিম্মি করে ১৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত রাখা হচ্ছে। কোনো যাত্রী এ ব্যাপারে প্রতিবাদ করলে অটোরিকশা নিচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।


বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক মো. মাহবুব রহমান বলেন, ঈদ শেষে হাজারো যাত্রী কর্মস্থলে ফিরছেন। ফেরিগুলোতে ঢাকাগামী যাত্রীদের ভীষণ চাপ আছে। আজ ভোর থেকে কয়েকটি ফেরিতে শুধু যাত্রীই পার করা হয়েছে।


দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোতেও যাত্রীরা যাচ্ছেন উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ফেরি চলাচল স্বাভাবিক থাকার কারণে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ সামাল দেয়া সম্ভব হচ্ছে। যাত্রীদের মাইকিংসহ বিভিন্নভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য বলা হলেও তারা মানছেন না।


মাওয়া ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক মো. হিলাল উদ্দিন বলেন, যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঘাট এলাকায় পারের অপেক্ষায় ৫০টির মতো গাড়ি আছে। অ্যাম্বুলেন্স ও মরদেহবাহী গাড়িগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ফেরিতে আগে দেয়া হচ্ছে।

Post Top Ad

Responsive Ads Here