দেশে করোনার ন্যায় ভয়াবহ আকার ধারণ করছে ডেঙ্গু রোগ। প্রতিদিনই নতুন রোগী শনাক্তের রেকর্ড গড়ছে রোগটি। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সর্বোচ্চ ১৯৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ১৯৪ জনই রাজধানীর। ঢাকার বাইরে দুজন।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক অনলাইন বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক অনলাইন বুলেটিনে জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭০ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন, যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেকর্ড। এরমধ্যে ঢাকায় ১৬৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত সবাইকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক অনলাইন বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৯৪ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের সবাইকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এর আগের দিন বুধবার অধিদফতরের অনলাইন বুলেটিনে জানানো হয়- গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৫৩ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের সবাইকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকারই ১৫০ জন।
সময় সংবাদ ডেস্কঃ
গত মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের অনলাইন বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ১৪৩ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন। এরমধ্যে ১৪২ জনই ছিলেন রাজধানীর বাসিন্দা। তারা সবাই হাসপাতালে ভর্তি হন।
তারও আগে সোমবার স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সর্বোচ্চ ১২৩ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। যেটি চলতি বছরে সেদিন সর্বোচ্চ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তির রেকর্ড ছিল। এদের মধ্যেই ১২০ জনই ছিলেন ঢাকার বাসিন্দা।
এরও আগে শনিবার (২৪ জুলাই) সর্বোচ্চ ১০৪ জন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।
এদিকে, ডেঙ্গু সন্দেহে মারা যাওয়া তিনজন রোগীর তথ্য পর্যালোচনার জন্য সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়েছে। তবে চলতি বছর ডেঙ্গুতে এখন পর্যন্ত কোনো মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেনি আইইডিসিআর।
সাধারণত এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গু মৌসুম হিসেবে ধরা হয়। তবে আগের বছরগুলোতে ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হতে দেখা গেছে জুন-জুলাইয়ে। কয়েক দিন থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ায় এডিস মশার বংশ বিস্তারে প্রভাব ফেলছে। করোনা আর ডেঙ্গুর উপসর্গ কাছাকাছি হওয়ায় জ্বর হলে বেশি সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।