সময় সংবাদ ডেস্কঃ
প্রথম ধাপের স্থগিত ১৬০ ইউনিয়ন পরিষদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আজ (সোমবার)। চলবে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এছাড়া একইদিন ষষ্ঠ ধাপের স্থগিত ৯ পৌরসভায় ভোট গ্রহণ হবে।
শনিবার মধ্যরাতে এসব নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়েছে। এরই মধ্যে ভোটগ্রহণের জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
করোনা মহামারির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ নির্বাচন হবে বলে ইসি সূত্র জানিয়েছে।
এর আগে করোনা মহামারির কারণে ইসি এসব নির্বাচন স্থগিত করে। এবারের ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ-জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য দলের প্রার্থীরা মাঠে রয়েছেন।
ইসি সচিবালয়ের যুগ্ম-সচিব (জনসংযোগ) এস এম আসাদুজ্জামান জানান, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচনী এলাকায় চারস্তরের নিরাপত্তা বলায় থাকবে। ভোট সামনে রেখে সবধরনের অনিয়ম-বিশৃঙ্খলা রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ডিসি-এসপি-রিটার্নিং অফিসারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে শনিবার র্যাব, পুলিশ ও আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নির্বাচনী এলাকায় টহল শুরু করেছেন। থাকবেন ভোটের পরের দিন পর্যন্ত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে রয়েছেন নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। ভোটগ্রহণের জন্য ইতোমধ্যে বিশেষ নিরাপত্তায় প্রতিটি কেন্দ্রে ব্যালট বক্স, ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনী মালামাল পাঠানো হয়েছে।
ইসি সূত্র জানা গেছে, ১৬০টি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ৪৫ জন। চেয়ারম্যান পদে মোট প্রার্থী রয়েছেন ৫০০ জন। সংরক্ষিত ওয়ার্ডে প্রার্থী রয়েছেন ১ হাজার ৯৬৫ জন এবং সাধারণ ওয়ার্ডে প্রার্থী রয়েছেন ৬ হাজার ৩৩৩ জন।
এদিকে ৯ পৌরসভার মধ্যে কুমিল্লার লাঙ্গলকোট, নোয়াখালীর কবিরহাট ও চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র পদে তিনজন নির্বাচিত হয়েছেন। এখন মেয়র পদের লড়বেন ২৭ জন।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচনের প্রচার শেষ হয়েছে শনিবার দিনগত রাত ১২টায়। স্থানীয় সরকার নির্বাচন আইন অনুযায়ী, ভোটগ্রহণ শুরুর ৩২ ঘণ্টা আগে প্রচার বন্ধ করতে হয়। এছাড়া নির্বাচনী আইন অনুয়ায়ী- ভোটগ্রহণের দিন সকাল ৮টা থেকে রাত ১২ এবং ভোটগ্রহণের দিন রাত ১২ থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নির্বাচনী এলাকায় কোনো ব্যক্তি জনসভা, অনুষ্ঠান এবং মিছিল বা শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ।
ইসির সূত্র জানায়, দেশে প্রথম ধাপে ৩৭১ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল গত ১১ এপ্রিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ১ এপ্রিল তা স্থগিত করা হয়। এরমধ্যে প্রথম ধাপে ২১ জুন ২০৪টি ইউনিয়নে নির্বাচন হয়েছিল। তখন ১৬৭ ইউপির নির্বাচন স্থগিত রাখা হয়। তবে প্রার্থী মারা যাওয়ায় পাঁচটি, মামলাজনিত কারণে একটি এবং আবহাওয়াজনিত দুর্যোগের কারণে একটি ইউপিতে আপাতত ভোট হচ্ছে না। সেই হিসাবে খুলনা বিভাগের খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও নোয়াখালীর ১৬০ ইউপি এবং ৯টি পৌরসভায় ভোট হবে আজ (২০ সেপ্টেম্বর)। এছাড়া ৯টি পৌরসভার সব ক’টিতে এবং ১৬০ ইউপির মধ্যে ১১টিতে ইভিএমে ভোটগ্রহণ হবে।