জেলা প্রতিনিধিঃ
কুষ্টিয়ায় যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করা সেই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। আবু সাঈদ নামে ওই কনস্টেবলকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার খাইরুল আলম। এর আগে, সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ‘যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে রড দিয়ে পেটালেন পুলিশ সদস্য’ শিরোনামে ডেইলি বাংলাদেশ-এ সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি নজরে আসে জেলা পুলিশের।
কনস্টেবল আবু সাঈদের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়ে এখনো যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন তার স্ত্রী মনিকা খাতুন। গত কয়েকদিন হাসপাতালে চিকিৎসার পর বাবার বাড়িতে ফিরেছেন তিনি।
মনিকার বাবা মতিয়ার রহমান জানান, দুই বছর আগে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার হাতিভাঙ্গা গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে আবু সাঈদের সঙ্গে তার মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে নানা চাওয়া-পাওয়া নিয়ে স্বামীর হাতে নির্যাতনের শিকার হতেন মনিকা। বারবার তার দাবি পূরণ করেও নির্যাতন থেকে নিস্তার পাননি স্ত্রী।
আরো জানা গেছে, সম্প্রতি যৌতুকের জন্য মনিকাকে লোহার রড দিয়ে পেটান কনস্টেবল আবু সাঈদ। এতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন মনিকা। পরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে পরিবার। ওই ঘটনায় গত ১১ সেপ্টেম্বর কনস্টেবল আবু সাঈদের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া মডেল থানায় অভিযোগ করেন মনিকার বাবা।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা. আশরাফুল আলম জানান, হাসপাতালে আনার সময় মনিকার তলপেটসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন ছিল। সেসব ক্ষত দিয়ে রক্ত ঝরছিল। মঙ্গলবার দুপুরে তাকে ছাড়পত্র দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে
মনিকা খাতুনের স্বামী আবু সাঈদ জানান, একটি ছেলের সঙ্গে তার স্ত্রীর প্রেমের সম্পর্ক আছে। তারা ফেসবুকের মেসেঞ্জারে নিয়মিত কথা বলে। এসব দেখে মাথা ঠিক রাখতে পারেননি তিনি। এ কারণে মারধর করেছেন। যৌতুকসহ যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছে তা সঠিক নয়।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার খাইরুল আলম জানান, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর পরই ওই কনস্টেবলকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।