স্কুল-কলেজ খোলার পর এখন পর্যন্ত যে তথ্য পেয়েছি, তাতে কোনো জায়গায় সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা এখন পর্যন্ত মনে হয়নি,সচেতন থাকতে হবে - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

রবিবার, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২১

স্কুল-কলেজ খোলার পর এখন পর্যন্ত যে তথ্য পেয়েছি, তাতে কোনো জায়গায় সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা এখন পর্যন্ত মনে হয়নি,সচেতন থাকতে হবে


 


সময় সংবাদ ডেস্কঃ



রোববার ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে স্কুল-কলেজ খোলার পর এখন পর্যন্ত যে তথ্য পেয়েছি, তাতে কোনো জায়গায় সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা এখন পর্যন্ত মনে হয়নি স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, “স্কুল-কলেজ খোলার পর এখন পর্যন্ত যে তথ্য পেয়েছি, তাতে কোনো জায়গায় সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা এখন পর্যন্ত মনে হয়নি। তবে আমাদের খুব সচেতন থাকতে হবে।”


করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমে আসায় গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল-কলেজ খুলে দিয়েছে সরকার। প্রাথমিকভাবে একেক দিন একেক সময়ে একেক শ্রেণির ক্লাস নেওয়া হচ্ছে।


শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “একটা সমাজ তো তাদের অভ্যাস রাতারাতি বদলাতে পারে না। আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যসম্মত অভ্যাসগুলো আস্তে আস্তে বিস্তৃতি লাভ করবে। একদিনে আমরা সব আশা করে ফেলছি তা না।


“সবার মধ্যে একটা চেষ্টা দেখছি। যেটা দেখেছি সেটা দিয়ে আমি স্ন্তুষ্ট। সবার চেষ্টা আছে। আমরা আশা করছি, আমরা একটি স্বাস্থ্যসম্মত জায়গায় পৌঁছতে পারব।”


একজন সাংবাদিক শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, তার আসার খবর পেয়েই যাত্রাবাড়ীর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিষ্কার করা হয়েছে।


উত্তর দিতে গিয়ে দীপু মনি বলেন, “আমরা এখানে আসলাম, তারা জানতেন। সে কারণে প্রস্তুতি ভালো। আমরা আশা করব এমনিতেও তাদের প্রস্তুতি খুব খারাপ না। এটি অনেক বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আরও অনেক ভালো হতে পারে। তবে প্রতিষ্ঠানটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন দেখেছি।


“আর পরিষ্কারের কাজ তো সব সময়ই হতে পারে। সারাক্ষণই হতে থাকবে। আমি এসেছি বলে পরিষ্কার হয়েছে কিনা তা তো বলতে পারছি না। তবে আমরা এখানে যেমন জানিয়ে এসেছি, অনেক জায়গায় না জানিয়ে চলে যাব। আপনাদের রিপোর্টের ‍ভিত্তিতে আমরা জানতে পারছি লোকে মানার চেষ্টা করছে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে।”



স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার তাগিদ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, “অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাইরে অভিভাবকরা ভিড় করছেন। সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তেমন কিছু করার নেই। সেখানে অনুরোধের বিষয় আছে, জোর করার কিছু নেই। অভিভাবকদের আমি সচেতন হতে বলব। তারা অপেক্ষা করবেন, কিন্তু অপেক্ষাটা যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে হয়।”


মহামারীর মধ্যে দেড় বছরে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে দীপু মনি বলেন, “মাত্র তো স্কুল-কলেজ খুলেছে। আমরা তথ্য নিচ্ছি। তথ্যের ভিত্তিতে সমস্যাগুলো দেখে আমরা ব্যবস্থা নেব।”


আরেক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কে কবে খুলবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই সে সিদ্ধান্ত নেবে।


“বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব শিক্ষার্থীর টিকার রেজিস্ট্রেশন হয়নি, তাদের ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আমরা টিকার রেজিস্ট্রেশন করতে বলেছি। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ই সিদ্ধান্ত নেবে।”


যাত্রাবাড়ীর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ঘুরে দেখার পর তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা এবং ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজও পরিদর্শন করেন শিক্ষা মন্ত্রী।


ভিকারুননিসা স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, “স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা এবং বাকি নিয়মগুলো মানা আসলে আমাদের অভ্যাসের অংশ ছিল না। এখন এটাকে আমাদের অভ্যাসের অংশ করতে হবে। আর অভ্যাস বদলানোটা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। এটার জন্য সময় লাগে। কিন্তু করোনার কারণে আমাদের বেশ চাপ দিয়ে এটা মানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।


“আমি যে কটা প্রতিষ্ঠানে গিয়েছি, দেখে আমার ভালো লেগেছে। তামিরুল মিল্লাত মাদ্রাসায় হোস্টেলও আছে। প্রতিষ্ঠানে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা আছে। দু-একটি রুমে পুরনো বই, পরীক্ষার কাগজপত্র রাখা আছে। রুমটা পরিষ্কার। কিন্তু হয়ত স্যাঁতস্যাঁতে। আমাদের সব অবকাঠামো যে খুব ভালো অবস্থায় আছে, তা তো নয়। হয়ত কোথায় কোথাও সমস্যা আছে। সেগুলো কাটিয়ে উঠতে হবে। তবে আমার ভালো লেগেছে, যে কটা প্রতিষ্ঠানে গিয়েছি।”



নতুন সংক্ষিপ্ত কারিকুলামে ক্লাস শুরু হলে সপ্তাহে পাঁচ দিন করে ক্লাস হবে জানিয়ে দীপু মনি বলেন, “এক সপ্তাহ আমরা দেখলাম। মোটামুটি সবার উৎসাহ আগ্রহ দেখলাম। নিয়ম মানবার ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন। তাই আমরা এইট, নাইনের সময়টা বাড়ালাম। এ মাসের শেষ পর্যন্ত দেখব আমরা।”


তিনি বলেন, “এখন ৪০ মিনিট করে ৮০ মিনিট (দুটি) ক্লাস হচ্ছে। বাবা-মায়েরা ভাবছেন, শুধু দুটা ক্লাসের জন্য দূর-দূরান্ত থেকে বাচ্চারা আসছে। চারটা ক্লাস করা যায় কিনা। কিন্তু চারটা ক্লাস করতে গিয়ে সমস্যা হচ্ছে তখন খাবারের বিষয় থাকবে।


“এত লম্বা সময় না খেয়ে থাকতে পারবে না। তখন মাস্ক খুলতে হবে। সবার বাড়ি থেকে থেকে খাবার আনবে। খাবার শেয়ারিং হবে। এতে রিস্ক বেড়ে যেতে পারে। এজন্য আমরা চিন্তা করছি, তিনটা ক্লাস নেওয়া যায় কিনা। আমরা এখন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে থাকব এবং বুঝতে থাকব।”

Post Top Ad

Responsive Ads Here