জেলা প্রতিনিধিঃ
আইনজীবীর পরামর্শ নিতে গিয়ে উল্টো ধরা পড়ল শিশু হত্যার সঙ্গে জড়িতরা। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে নাটোরের লালপুরে।
শুক্রবার রাতে শিশু হত্যাকারীর বাবা তার আত্মীয়কে সঙ্গে নিয়ে নাটোর শহরের এক আইনজীবীর কাছে গিয়ে হত্যার ঘটনাটি জানান এবং আইনি পরামর্শ চান। আইনজীবী বিষয়টি লালপুর থানাকে জানালে পুলিশ গিয়ে শিশুর লাশ উদ্ধার করে।
নাটোরের লালপুরে নিখোঁজের চার দিন পর এক শিশুর বস্তাবন্দি লাশ পাওয়া গেছে। উপজেলার দুবলিবনা বিলের একটি ধানক্ষেত থেকে শনিবার সকালে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
মৃত শিশুর নাম নুসরাত খাতুন। সে উপজেলার আবদুলপুর গ্রামের মো. বাবুর মেয়ে। আবদুলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী। শিশুটিকে হত্যা ও লাশ গুমের অভিযোগে প্রতিবেশী এক কিশোর ও তার বাবাকে আটক করেছে পুলিশ।
লালপুর থানার ওসি মো. ফজলুর রহমান বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নুসরাত গত মঙ্গলবার সকালে বাড়ির পাশ থেকে নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে তার বাবা মঙ্গলবার রাতে লালপুর থানায় জিডি করেন। শুক্রবার গভীর রাতে নাটোরের এক আইনজীবী পুলিশকে ফোন করে জানান, নুসরাতকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকারী এক কিশোর। ওই কিশোরের বাবা তার কাছে এ হত্যার কথা জানিয়ে আইনি সহায়তার জন্য এসেছিলেন। এরপর লালপুর থানা-পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই কিশোর ও তার বাবাকে আটক করে এবং তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দুবলিবনা বিলের একটি ধানক্ষেত থেকে বস্তাবন্দি নুসরাতের লাশ উদ্ধার করে।
আটক কিশোর এলাকাবাসী ও পুলিশের সামনে শিশুটিকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। সে বলে, মঙ্গলবার সে বাড়িতে গবাদি পশুর জন্য খড় কাটছিল। এ সময় নুসরাত সেখানে গিয়ে খড় এলোমেলো করছিল। বিরক্ত হয়ে সে হাঁসুয়ার উল্টো দিক দিয়ে তার ঘাড়ে আঘাত করে। এতে সে মারা যায়। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ওই কিশোর নুসরাতের লাশ বাড়ির পরিত্যক্ত শৌচাগারের গর্তে ফেলে রাখে। শুক্রবার সন্ধ্যায় গন্ধ ছড়াতে শুরু করলে গভীর রাতে লাশটি বস্তায় পুরে দুবলিবনা বিলের একটি ধানক্ষেতে ফেলে আসা হয়।