অটো সিএনজি থেকে নেতার দোহাই দিয়ে রশিদ ছাড়া চাঁদা আদাই - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

সোমবার, অক্টোবর ১১, ২০২১

অটো সিএনজি থেকে নেতার দোহাই দিয়ে রশিদ ছাড়া চাঁদা আদাই


 



জেলা প্রতিনিধিঃ



ময়মনসিংহের ফুলপুরে নেতার দোহাই দিয়ে প্রতিদিন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও সিএনজি চালকদের নিকট থেকে রশিদবিহীন চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সদর উপজেলার মোট ৭ জায়গা থেকে এসব চাঁদা আদায় করা হয়।


সদরের দিউ (বালিয়া) মোড়, বাস ও ট্রাক স্টেশন, যাত্রী ছাউনি, শেরপুর রোড মোড় ও সরচাপুরসহ মোট ৭ জায়গায় প্রতি অটোচালকের নিকট থেকে ১০ টাকা থেকে শুরু করে দিনপ্রতি মোট ৩০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করা হয়। তবে সব জায়গায় রশিদবিহীন নয়।



রবিবার বিকালে বাস স্টেশন এলাকায় সরেজমিন পরিদর্শনে গেলে চোখে পড়ে চাঁদা আদায়ের দৃশ্য।


চরপাড়া গ্রামের চাঁদা কালেক্টর আবু হানিফ বলেন, আমরা সিএনজি সমিতির পক্ষ থেকে রশিদমূলে চাঁদা আদায় করে থাকি। আমাদের সমিতি সরকার অনুমোদিত ও রেজিস্ট্রেশন করা। আমরা ভুয়া কোনো টাকা উঠাই না।



শেরপুর রোড মোড় এলাকার বাসিন্দার চাঁদা কালেক্টর মিরাজ বলেন, আমরা ৬ জনে টাকাটা উঠাই। আমাদের উঠানো টাকাটা তিনভাগ হয়। এক ভাগ শ্রমিক কল্যাণের জন্য, এক ভাগ সিএনজি সমিতির ও অন্য ভাগ আমরা যারা উঠাই তারা নেই।


শম্ভুগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা সিএনজির চালক চাঁদা দিতে রাজি হননি।



কিন্তু নাছোড় বান্দা মিরাজ তাকে ছাড় দিতে রাজি নন। বাস স্টেশন এলাকায় বার বার তাকে বেরিকেড দিচ্ছিলেন মিরাজ। পরে চালক ময়মনসিংহ জেলা মিশুক, বেবি ট্যাক্সি, ট্যাক্সি কার ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন ময়মনসিংহ-১৫ এর সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেনের নিকট যান। সেখানে গেলেও ছাড় পাননি বলে জানান চালক।  

কাজিয়াকান্দা গ্রামের মাহিন্দ্র চালক আব্দুল হালিম বলেন, প্রত্যেক দিন আমাদেরকে ২০ থেকে ৩০ টাকা চাঁদা দিতে হয়।


এটা বাধ্যতামূলক। কামাই অইলেও না অইলেও।  

ধারার অটো চালক সোহেল বলেন, পৌরসভাকে ১০ টাকা আর সরচাপুরের বাদশাকে দেওয়া লাগে ১০ টাকা।  


তবে উত্তর সাহাপুর গ্রামের রুহুল আমিন বলেন, পৌরসভার নামে এখন চাঁদা নেওয়া হয় না। সরচাপুরের অটো চালক আবু হানিফ জানান, তার নিকট থেকে প্রতিদিন মাস্টারি বাবদ ২০ টাকা করে নেওয়া হয়। এর কোনো রশিদ দেওয়া হয় না। রশিদ চাইলে বলে, আমরারে চিনছ না? রশিদ লাগে কেয়া? টাকা না দিলে সিরিয়ালও দেয় না।


এ সময় গোদারিয়া গ্রামের অটোরিকশার সিরিয়াল মাস্টার হানিফ বলেন, আমরা অটোর সিরিয়াল মেইনটেইন করি। এজন্য প্রতি অটো থেকে ২০ টাকা করে নেই। তবে এর কোনো রশিদ দেওয়া হয় না।


রশিদ ছাড়া চাঁদা নেওয়ার অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে প্রথমে তিনি বলেন, অটো চালক সমিতির সভাপতি কামাল ভাই আমাদেরকে অনুমতি দিয়েছেন। পরক্ষণেই তিনি আবার চরপাড়া গ্রামের একজন আওয়ামী লীগ নেতার দোহাই দিয়ে বলেন, এটা অমুক ভাইয়ের স্টেশন। তার পারমিশনে আমরা টাকা উঠাই। এ থেকে ওই নেতা ভাগ পান বলেও জানান তিনি।  


এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অফিসার শীতেষ চন্দ্র সরকার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। আজ সোমবার আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মিটিং আছে। সেখানে আলোচনা করে এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Post Top Ad

Responsive Ads Here