হাফ ভাড়া পাশের আন্দোলনে ছাত্রলীগের হামলা - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

শিরোনাম

Wednesday, November 24, 2021

হাফ ভাড়া পাশের আন্দোলনে ছাত্রলীগের হামলা


 


সময় সংবাদ ডেস্কঃ



রাজধানীতে বাসে হাফ ভাড়ার দাবির আন্দোলন ক্রমেই জোরালো হচ্ছে। গতকালও সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেছেন বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা। হাফ ভাড়ার বিষয়ে সরকারিভাবে প্রজ্ঞাপন জারির দাবিও করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন। গতকাল দিনব্যাপী রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড়, নীলক্ষেত্র মোড়, টিএসসি ও বকশীবাজার মোড় অবরোধ করে আন্দোলন কর্মসূচি থেকে এ দাবি করেছেন ঢাকা কলেজ, ঢাকা সিটি কলেজ, ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী ও আটটি প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন।



দাবি মানা না হলে ফের সড়ক অবরোধ করে কঠোর আন্দোলন করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সড়কের নৈরাজ্য বন্ধ করতে হবে সমাবেশে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হামলা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ করেন ঢাকা কলেজ, ঢাকা সিটি কলেজ ও ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। ধীরে ধীরে আন্দোলনে আরও শিক্ষার্থী যোগ দেন।


তারা রাজধানীর গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে হাফ ভাড়া নেওয়ার দাবিতে স্লোগান দেন। সড়ক অবরোধের ফলে ওই এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। কর্মসূচির শেষ পর্যায়ে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের এক কর্মীর মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হামলার আগে একদল যুবক তাদের বিরুদ্ধে রাস্তার পাশে থাকা একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুরের অভিযোগ তুলে তর্ক বাধান।

কথা-কাটাকাটির মধ্যেই লাঠিসোঁটা নিয়ে তাদের ওপর হামলা করা হয়। কিছু শিক্ষার্থী এই হামলার শিকার হন। স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা দেড়টার দিকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে শিক্ষার্থীরা অবরোধ কর্মসূচি শেষ করেন। শেষ পর্যায়ে আইডিয়াল কলেজ ও বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আবদুর রউফ কলেজের কিছু শিক্ষার্থী মিছিল নিয়ে নীলক্ষেতের দিকে আসতে থাকেন। মিছিলটি ঢাকা কলেজের সামনে এলে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের রাস্তায় থাকা অ্যাম্বুলেন্স ছেড়ে দিতে বলেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী খায়রুল হাসু।

এ নিয়ে বাগবিতন্ডার এক পর্যায়ে ঢাকা কলেজের ওই শিক্ষার্থী মারধরের শিকার হন। এ সময় তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটিও ভেঙে দেওয়া হয়েছে। মারধরের শিকার খায়রুল হাসু বলেন, আমি শুধু বলেছি অ্যাম্বুলেন্স ছেড়ে দিতে। ওরা সবাই তখন আমার ওপর হামলা করে। আমার বাইক ভেঙে ফেলে এবং টি-শার্ট ছিঁড়ে ফেলে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, প্রথম দফা হামলার পর সায়েন্সল্যাব মোড়ে গিয়ে শিক্ষার্থীরা জড়ো হলে তাদের ওপর আরেক দফা হামলা করে একদল যুবক। এই হামলার সময় রাস্তায় স্কুল-কলেজের পোশাক পরা সব শিক্ষার্থীকেই মারধর করা হয়। পরে ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের এক শিক্ষার্থীকে রাস্তা থেকে তুলে ঢাকা কলেজে নেওয়ার অভিযোগ করেন আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষকরা বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করেন। পরে পুলিশ ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ ও শিক্ষক সমিতির নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। শিক্ষক সমিতির নেতারা তুলে নেওয়া শিক্ষার্থীর বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন এবং তাকে তাদের হেফাজতে এনে আইডিয়াল কলেজের শিক্ষকদের হাতে তুলে দেন।

দুপুরে সায়েন্সল্যাব মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, হাফ পাসের দাবিতে ছাত্ররা প্রথমে নীলক্ষেত ও পরে সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে সমাবেশ করে। বেলা ২টা ১০ মিনিটের দিকে আন্দোলনের সমাপ্তি টানে ছাত্ররা। তারা মিছিল নিয়ে নীলক্ষেতের দিকে যাওয়ার সময় হঠাৎ লাঠিসোঁটা নিয়ে একদল তরুণ ছাত্রদের ধাওয়া দেয়।


এরপর পুলিশের উপস্থিতিতে আইডিয়াল কলেজের এক ছাত্রকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। সড়ক অবরোধের কারণে নীলক্ষেত, এলিফ্যান্টরোড, জিগাতলা, ধানমন্ডি সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়।


বাসের যাত্রীদের অনেককে বাস থেকে নেমে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে। কেউ কেউ বিরক্ত হয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।


ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে সাভার থেকে ঢাকায় আসেন রবিউল। তিনি যানজটের কারণে দীর্ঘ সময় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে আটকা পড়েন। পরে বাধ্য হয়ে বাস থেকে নেমে পায়ে হেঁটে পলাশী এসে রিকশাযোগে মেডিকেলে যান। ক্ষোভ প্রকাশ করে রবিউল বলেন, সকাল সকাল রওনা দিয়েও কোনো লাভ হয়নি। টার্গেট ছিল দুপুরের মধ্যে হাসপাতালে পৌঁছাতে পারব। কিন্তু শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধের কারণে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে থাকা অবস্থায়ই আটকা পড়তে হয়। ১টার মধ্যেও পৌঁছাতে পারি কি না নিশ্চিত নয়, দ্রুত হাঁটতে হাঁটতে এমনটি বলছিলেন রবিউল। গত বৃহস্পতিবারও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের ডাকা আন্দোলনে হামলার ঘটনা ঘটেছিল। তখন শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তারা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করলেও একদল যুবক তাদের ওপর হামলা চালায়। গতকালও দুই দফা হামলায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।


এদিকে, সরকারিভাবে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষার্থীদের জন্য সারা দেশের সব গণপরিবহনে হাফ ভাড়া কার্যকর করা, ছাত্রী ও নারীদের জন্য অবাধ ও নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করার দাবিতে বেলা ১১টার দিকে বকশিবাজার মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি থেকে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন সাত কলেজের ব্যানারে আন্দোলন করা শিক্ষার্থীদের আরেক অংশ। নিজেকে সাত কলেজ আন্দোলনের ‘প্রধান সমন্বয়ক’ দাবি করে ইসমাঈল সম্রাট নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা চাই অতিদ্রুত প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষার্থীদের জন্য সারা দেশের সব গণপরিবহনে অর্ধেক ভাড়া কার্যকর করা হোক। গণপরিবহনে লাগামহীন ভাড়া একজন শিক্ষার্থীর জন্য বোঝা। গণপরিবহনগুলোতে ছাত্রী ও নারীরা নানা হয়রানির শিকার হয়। এসব হয়রানি বন্ধ করতে হবে। তাদের জন্য অবাধ ও নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে হবে।


ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী জুবায়ের বলেন, আমরা বৈষম্যের শিকার হতে চাই না। এক কলেজের শিক্ষার্থী হাফ পাস পাবে আরেক কলেজের শিক্ষার্থীরা পাবে না, এটা হতে পারে না। আমরা সবাই শিক্ষার্থী। তাই প্রজ্ঞাপন জারি করার দাবি জানাই। এ সময় প্রজ্ঞাপন জারি করতে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা। দাবি না মানলে আগামীকাল আবার নীলক্ষেতে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেন তারা।


পরে অবস্থান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নীলক্ষেতে যান শিক্ষার্থীরা। সেখানে গিয়ে আবারও সমাবেশের মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ হয়। গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ পাস নিশ্চিত করা, জ্বালানি তেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমানো ও বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহারের দাবিতে দুপুরে নীলক্ষেত মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ৮টি প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন। এতে অংশ নেয় বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা। হাফ ভাড়ার বিষয়ে সরকারিভাবে প্রজ্ঞাপন জারি করতে তারাও ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন।


বেলা ১২টার দিকে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি টিএসসি ঘুরে নীলক্ষেতে এসে বিক্ষোভ সমাবেশে মিলিত হয়। নীলক্ষেত মোড়ে দেড় ঘণ্টা ধরে সমাবেশ চলে। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল সায়েন্সল্যাব, কাঁটাবন, শাহবাগ মোড় ঘুরে রাজু ভাস্কর্যের সামনে এসে শেষ হয়। বিক্ষোভ সমাবেশে ছাত্রনেতারা বলেন, সরকার পরিবহন খাতের সামগ্রিক নৈরাজ্য জারি রেখে ভাড়া বৃদ্ধির বোঝা জনগণের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে। পরিবহন খাতের মাফিয়া এবং চাঁদাবাজের দৌরাত্ম্য ঠেকানোর কোনো পদক্ষেপ সরকারের নেই। আন্তর্জাতিক বাজারের অজুহাতে দাম বৃদ্ধি করলেও আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমলেও বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার করা হয় না। এগুলো সরকারের গণবিরোধী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ। অবিলম্বে শিক্ষার্থীদের হাফ পাসের প্রজ্ঞাপন জারি করার দাবি জানান তারা। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের দাবি না মানলে বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারিও দেন তারা।


জবি ছাত্রদের অর্ধেক ভাড়া কার্যকর : রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে আসা সদরঘাটগামী বাসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা আইডি কার্ড দেখানো সাপেক্ষে হাফ ভাড়া দেওয়ার সুবিধা পাবেন। সরকার রাজধানীতে বড় বাসে ১০ টাকা ও মিনিবাসে সর্বনিম্ন ভাড়া ৮ টাকা নির্ধারণ করলেও জগন্নাথের শিক্ষার্থীরা দেবেন ৫ টাকা। বাসে শিক্ষার্থীদের অর্ধেক ভাড়া ইস্যুতে গত কয়েক দিন ধরে রাজধানীতে আন্দোলনের মধ্যে গতকাল জবি প্রশাসনের সঙ্গে সদরঘাটগামী বাসগুলোর মালিকদের এক বৈঠক শেষে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। সম্প্রতি ডিজেলের দাম বাড়ানোর পর বাস ভাড়া বাড়িয়ে দেওয়া হলে বাসগুলোতে নির্ধারিত হারের চেয়ে বেশি টাকা আদায় করা হতে থাকে। শিক্ষার্থীরা এই অবস্থায় হাফ পাসের দাবিতে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে নানা রুটে কর্মসূচি পালন করছেন।


তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান ছাত্রদের এই আন্দোলনে সমর্থন জানিয়েছেন। বিকালে রাজধানীর বকশীবাজার এলাকায় ছাত্রদের আন্দোলনে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, চলমান আন্দোলন যৌক্তিক। ছাত্রছাত্রীদের ন্যায্য ও যৌক্তিক দাবিগুলো নিয়ে আমি সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলব। এর আগে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানও বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। তিনি জানান, এ বিষয়ে কোনো আইন নেই। তবে পর্যায়ক্রমে এটি চালু করার উদ্যোগ নেবেন তারা।


চট্টগ্রামে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল : নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম জানান, গণপরিবহনে হাফ ভাড়ার দাবিতে চট্টগ্রাম নগরীতে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সড়ক, নৌ ও রেলপথসহ সর্বস্তরের শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া নিশ্চিত করা, গণপরিবহনে ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত দ্রুত বাতিল করাসহ নানা দাবি তুলে ধরেন। গতকাল দুপুরের দিকে দুই নম্বর গেট এলাকায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে মিছিল বের হয়ে জিইসির মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।


শিক্ষার্থীদের অন্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- পরিবহন খাতে শ্রমিকদের ওপর চলমান সব ধরনের চাঁদাবাজি বন্ধ করা, জ্বালানি তেল ও এলপিজি গ্যাসের দাম কমানো, রাস্তার ধারণক্ষমতা বিবেচনায় ব্যক্তিগত পরিবহন হ্রাস, গণপরিবহন ও ট্রাফিক ব্যবস্থার মানোন্নয়ন নিশ্চিত করা।


সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, অতিরিক্ত ভাড়া বহন করতে আমাদের কষ্ট হচ্ছে। সামান্য পথ পাড়ি দিতে অনেক বেশি ভাড়া দিতে হচ্ছে। যা আমাদের ওপর জুলুম। গ্রাম থেকে এসে টিউশনি করে চলি। টিউশনির টাকা যদি গাড়ি ভাড়ায় চলে যায় তাহলে খাব কী? সারা দেশে গণপরিবহনে হাফ ভাড়ার দাবি নতুন নয়। এটি আমাদের যৌক্তিক দাবি। বাসে হাফ ভাড়া দিতে গেলে বাসের হেলপার নিতে চায় না। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতিনিয়তই ঝগড়া করে। আমরা চাই প্রশাসনের সঠিক সিদ্ধান্ত। প্রশাসন সুদৃষ্টি দিলে চট্টগ্রামে শিক্ষার্থীদের এই দুর্ভোগ পোহাতে হবে না।

No comments: