অস্ত্রসহ আটক তিন যুবককে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া ওসিকে প্রত্যাহার। |
আবু সাঈদ শাকিল, নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানায় ‘অস্ত্রসহ’ আটক তিন যুবককে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা পুলিশ।
মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) রাতে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব (চলতি দায়িত্ব) মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে সোনাইমুড়ী থানার বজরা ইউনিয়ন থেকে অস্ত্রসহ আটক তিন যুবককে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে মো. তহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) দীপক জ্যোতি খীসাকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে জেলা পুলিশ।
আটকরা হচ্ছেন-সোনাইমুড়ীর পূর্ব চাঁদপুর গ্রামের মো. নুরনবীর ছেলে মো. সুমন (৩১), মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে মো. মাঈন উদ্দিন (২৯) ও ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার দীঘিরপাড় গ্রামের মৃত আমিনুল ইসলামের ছেলে জিসান আহমেদ (২৫)।
এ বিষয়ে এএসআই সোহেল রানা বলেন, নির্বাচন উপলক্ষে ডিউটি করার সময় সন্দেহভাজন তিন যুবককে একটি পিস্তল-সদৃশ (চায়না দিয়াশলাই) বস্তুসহ আটক করে থানায় নিয়ে আসি। আটকের একঘণ্টা পর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তহিদুল ইসলাম তাদের ছেড়ে দিয়েছেন।
পিস্তলটি খেলনা হলে পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে আপনার চেনার কথা আর খেলনাই যদি হয় তাদের আটক করা হলো কেন? এমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তোর না দিয়ে সোহেল রানা বলেন, নৌকার প্রার্থী থানায় আসার পর ভোররাতে তাদের ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন ওসি।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, আটকরা বজরা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মীরন অর রশিদের আত্মীয় ও বহিরাগত অনুসারী। আটকের পর প্রার্থী মীরন থানায় গিয়ে রাতেই ‘টাকার বিনিময়ে’ তাদের ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন। পরে পুলিশ অস্ত্রটি ‘খেলনা’ বলে প্রচার করে।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তহিদুল ইসলামকে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করে নি।
মোঃসাইফুল্লাহ /সময় সংবাদ