ফরিদপুরে পিটিয়ে মারা হলো রাসেল ভাইপার নামক বিষক্ত সাপ - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

সোমবার, জানুয়ারী ১৭, ২০২২

ফরিদপুরে পিটিয়ে মারা হলো রাসেল ভাইপার নামক বিষক্ত সাপ

ফরিদপুরে পিটিয়ে মারা হলো রাসেল ভাইপার
বিষধর রাসেল ভাইপার সাপ 





নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে ফসলের ক্ষেতে সাড়ে চার ফুট দৈর্ঘ্য একটি বিষধর রাসেল ভাইপার সাপ দেখতে পেয়ে সেটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে গ্রামবাসী। 

চর হরিরামপুর ইউপির আমীন খাঁর ডাঙ্গী গ্রামের সাতশাে বিঘার ছাহাম নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে গত শনিবার বিকেলে।


চরভদ্রাসনের সদর ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গী গ্রামের সরােয়ার হােসেন জানান, চর হরিরামপুরের পশ্চিম শালেপুর গ্রামের হালিম কাজীর কাছে তার কিছু কৃষি জমি বন্দক দেওয়া আছে। সে জমিতে মাশকালাই চাষ করা হয়েছে। তিনি সেই কালাই ক্ষেত দেখতে চরে যান। পাকা কালাই তুলছিলাে হালিমসহ আরাে কয়েকজন কৃষক। এমন সময় হালিম সাপটি দেখে চিৎকার দিয়ে উঠে। পরে অন্যরা এগিয়ে এসে ভীত হয়ে সাপটি মেরে মাটিতে পুঁতে রাখে। 


২০১৬ সালে চরভদ্রাসনে এ রাসেল ভাইপারের দেখা মিলে। তখন স্থানীয় কেউ সাপটিকে শনাক্ত করতে পারেননি। সে সময় কেউ আক্রান্ত না হলেও ২০১৭ সালের আগস্টে বিষাক্ত এ সাপের বিস্তার ঘটে চরভদ্রাসনে। তারপর শনাক্ত করা হয় এটি রাসেল ভাইপার বা চন্দ্রবাড়া সাপ। তখন এই সাপের কামড়ে প্রথম মত্যুর ঘটনা ঘটে। পরে এ সাপ উপজেলার বিভিন্নস্থানে ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমান সময়ে এ সাপের উপদ্রপ কমলেও প্রায়ই জনতার হাতে আটকের পর মারা পড়ছে এ বিষাক্ত রাসেল ভাইপার সাপ। সবচেয়ে বিষাক্ত সাপ বলে মনে করা হয় এটিকে।


শনিবার বিকেলে নিহত এই সাপটির ছবি দেখে চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজের বাংলাদেশ ভেনম রিসার্চ সেন্টারের ট্রেইনার ও সহকারী গবেষক বােরহান বিশ্বাস বলেন, এর বয়স ৪ বছরের বেশি হবে।


তিনি বলেন, বাংলাদেশের সাপের বিষ নিয়ে গবেষণা এবং বাংলাদেশের সাপের বিষ থেকে সাপ কামড়ের প্রতিষেধক তৈরি করার উদ্দেশ্যে কাজ করছি। সে জন্য বাংলাদেশের সব অঞ্চল থেকে নির্দিষ্ট সংখ্যায় বিষধর সাপ সংগ্রহ করি। চরভদ্রাসন থেকেও রাসেল ভাইপার সাপ সংগ্রহ করেছি। গত কয়েক বছর ফরিদপুরসহ বাংলাদেশের ২৭ টি জেলায় রাসেল ভাইপার সাপ ছড়িয়ে পড়েছে ও সংখ্যা বৃদ্ধি করেছে। 


উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান বলেন, আগের তুলনায় চরভদ্রাসনে সাপের উপদ্রুপ অনেক কমেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এন্টিভেনম ও মজুদ রয়েছে। 

মোঃসাইফুল্লাহ/সময় সংবাদ

Post Top Ad

Responsive Ads Here