আব্দুল্লাহ আল নোমান,আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ
আমতলী উপজেলার ৭ টি অবৈধ ড্রাম চিমনী ইটভাটায় অর্থদন্ড ও বন্ধের ১ ঘন্টা পরে পৃুনরায় চালু করেছে ইটভাটার মালিকরা। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী দ্রæত স্থায়ীভাবে ৭টি ইটভাটা বন্ধের দাবী জানিয়েছেন ।
জানাগেছে, আমতলী উপজেলায় এডিবি, মৃধা, ফাইভ স্টার, এমকেএস, এইচআরটি, এসএসবি ও এমসিকে নামের ৭ টি ড্রাম চিমনী ইটভাটায় কাঠ দিয়ে অবৈধভাবে ইট পুড়ে আসছে। রবিবার ওই ইট ভাটাগুলোতে পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নওরীন হক পরিদর্শন শেষে প্রত্যেক ইটভাটায় দুই লক্ষ টাকা করে ১৪ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড করেন এবং একই সাথে ইটভাটাগুলো বন্ধের নির্দেশ দেন। কিন্তু ভ্রাম্যমান আদালতের অর্থদন্ড ও বন্ধের নির্দেশনার ১ ঘন্টা পরে পুনরায় মালিকরা ইটভাটা পুনরায় চালু করেছে। বন্ধের নির্দেশনার ১ ঘন্টা পরে পুনরায় ইটভাটা চালুর করায় এলাকাবাসীর মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। তারা দ্রæত স্থায়ীভাবে ইটভাটা বন্ধের দাবী জানিয়েছেন।
সোমবার সরেজমিনে ঘুরে দেখাগেছে, ইটভাটার মালিকরা পুনরায় ইটভাটা চালু করে ইট পোড়াচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইটভাটা বন্ধ ও জরিমানা করে চলে যাওয়ার পরপরই ইটভাটার মালিকরা পুনরায় ইটভাটাগুলো চালু করেছে। তারা আরো বলেন, ম্যাজিস্টেটের চেয়েও ইটভাটার মালিকরা শক্তিশালী। নইলে তারা যাওয়ার পরপরই কিভাবে আবার ইটভাটা চালু করলো। দ্রæত স্থায়ীভাবে ইটভাটা বন্ধের দাবী জানিয়েছেন তারা।
মৃধা ইটভাটার ম্যানেজার মোঃ জসিম মিয়া বলেন, শ্রমিকদের বেতন দিতেই আবার চালু করেছি। তবে দ্রæত ইটভাটা বন্ধ করে দেব।
পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মোঃ আব্দুল হালিম বলেন, ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গিয়ে সাতটি ইটভাটায় জরিমানা করে বন্ধ করে দিয়েছে। পুনরায় চালু করলে আবারো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোঃসাইফুল্লাহ /সময় সংবাদ
