নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার মরিয়ম নগর এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ইমরান হোসেন নামে এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকাল ১১টার দিকে ফারুক শাহ নামের স্থানীয় এক নির্মাণাধীন ভবনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ইমরান হোসেন একই উপজেলার কোদালা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নুরুল হকের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, নির্মাণাধীন ভবনের দ্বিতীয় তলায় রাজমিস্ত্রির কাজ করছিলেন ইমরান। একপর্যায়ে তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পড়ে যান। পরে তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (সিএমসি) হাসপাতালে নেওয়া হয়।
চমেক হাসপাতালে কর্তব্যরত জেলা পুলিশের এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার জানান, ইমরান হোসেনকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে নিচে পড়ে যান বলে জানতে পারি।
বিদ্যুতের সংস্পর্শে এলে কী করবেন
দেশের কিছু অংশে প্রায়ই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। কয়েলের মতো বৈদ্যুতিক তারগুলি যেগুলি বাড়ির খুব কাছ দিয়ে যায় তাও এমন অনেক দুর্ঘটনার কারণ। তবে কিছু সহজ বিষয় জানা থাকলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা কমানো সম্ভব।
অগ্নি ও দুর্যোগ বিশেষজ্ঞ এবং বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিসের সাবেক পরিচালক একেএম শাকিল নেওয়াজ বলেন, বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনায় প্রথমেই বিদ্যুৎ বন্ধ করা হয়। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে। আর যদি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা সম্ভব না হয়, তাহলে যে ব্যক্তি খালি হাতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছে তাকে কোনোভাবেই স্পর্শ করা যাবে না। এ ক্ষেত্রে পায়ে জুতা বা স্যান্ডেল পরার পর শুকনো কাঠের টুকরো, বাঁশ বা রাবারের তৈরি কিছু দূরত্বে রাখতে হবে এবং বিদ্যুতের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিকে বৈদ্যুতিক উৎস থেকে আলাদা করতে হবে।
যাইহোক, অনেকে বৈদ্যুতিক উত্স থেকে আলাদা করার চেষ্টা করে এবং আক্রান্ত ব্যক্তিকে শক্তভাবে আঘাত করে - যা করা যায় না। ধাতব বা ভেজা জিনিস কোনোভাবেই ব্যবহার করা উচিত নয়। এর কোনোটিই সম্ভব না হলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
মোঃসাইফুল্লাহ /সময় সংবাদ
No comments:
Post a Comment