টানা সরকারী ছুটিতে কুয়াকাটা সৈকতে পর্যটকদের উপচে পড়া ভীড় | সময় সংবাদ - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

বুধবার, মার্চ ১৬, ২০২২

টানা সরকারী ছুটিতে কুয়াকাটা সৈকতে পর্যটকদের উপচে পড়া ভীড় | সময় সংবাদ

টানা সরকারী ছুটিতে কুয়াকাটা সৈকতে পর্যটকদের উপচে পড়া ভীড় | সময় সংবাদ



রাসেল কবির মুরাদ,কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি:

অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভুমি পর্যটন নগরী কুয়াকাটায় তিন দিনের ছুটির শুরতে বুধবার থেকেই পর্যটকদের উপচে পড়া ভীড় সৈকতের তীরে। জাতীয় শিশু দিবস ও শবে-বরাতকে সামনে রেখে টানা ছুটিতে পর্যটকের আগমনে সৈকতের জিরো পয়েন্ট থেকে কোথাও তিল ধারনের ঠাই নাই, পুরো সৈকত পর্যটকে ঠাসাঠাসি। আগত এ সকল পর্যটকরা সমুদ্রের নোনা জলে গোসল করে, আনন্দ-উল্লাসে মেতেছেন। অনেক পর্যটক প্রিয়জনের সাথে সেল্ফি তুলে আপলোড দিচ্ছে ফেইসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্ট্যাগ্রামসহ বিভিন্ন সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। কেউ কেউ  আবার সৈকতের তীরে ও বেঞ্চিতে বসে উপভোগ করছেন সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের বেলাভুমি কুয়াকাটা সৈকতের মনোরম-মনোলোভা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। 


স্থানীয় সূত্র ও সরেজমিনে গিয়ে ঘুরে দেখা যায়, কুয়াকাটা সৈকতের গঙ্গামতি, ইকোপার্ক, ঝাউবাগান, শুটকি পল্লী, লেম্বুর চর, বৌদ্ধ বিহার, রাখাইন পল্লী ও ইলিশ পার্কসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্পটে পর্যটকদের ভীড়ে টইটুম্বুর পরিবেশ বিরাজ করছে। পর্যটকের এমন ভীড়ে অগ্রীম বুকিং রয়েছে কুয়াকাটার সকল হোটেল-মোটেল। প্রতিবছরের মার্চ মাস হচ্ছে পর্যটকের মৌসুম, তবে এ মৌসুম চলে এপ্রিল মাস পর্যন্ত।


হোটেল-মোটেল ও পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা এ প্রতিবেদককে জানান, দক্ষিনাঞ্চলের পায়রা সেতু ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির কারনে বছরের ফেব্রæয়ারী-মার্চ-এপ্রিল মৌসুম জুড়ে কুয়াকাটায় পর্যটকদের ভীড়ে মুখরিত থাকবে। 


সৈকতের তীরে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী নাফিজ সিদ্দিক এ প্রতিনিধিকে বলেন, এমন পর্যটক কুয়াকাটায় আর হয়নি, বছরের সবসময় কুয়াকাটায় আজকের দিনের মতো এরকম পর্যটক থাকলে আমাদের ভালো হয়।


খুলনা থেকে ঘুরতে আসা পর্যটক দম্পতি তৃনা-সাদিক এ প্রতিবেদককে জানায়, আমরা ১৫/২০ বছর ধরে কুয়াকাটায় বছরের যে কোন একটা সময় ঘুরতে আসি, ্তবে এধরনের পর্যটক আমাদের চোখে কখনোই  পড়েনি। তাই কুয়াকাটার দর্শনীয় পর্যটন স্পটগুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থা দ্রæতগতিতে আরো উন্নত করার অনুরোধ জানান সরকারের নিকট।


কুয়াকাটা সিকদার রিসের্টের ম্যানেজার আল-আমিন এ প্রতিনিধিকে জানান, পর্যটকের উপচে পড়া ভীড়ে বুধবার পর্যন্ত আমাদের হোটেলের ৮০% রুম অগ্রীম বুকিং হয়ে গেছে, এ অবস্থা কুয়াকাটার সকল আবাসিক হোটেলগুলোতে, আগামী ৩/৪দিন বাকী সব রুম বুকিং হয়ে যাবে বলে তিনি আশা করেন।


কুয়াকাটা ট্যুর অপারেটস এসোসিয়েশন (টোয়াক)-এর সভাপতি রুম্মান ইমতিয়াজ তুষার এ প্রতিবেদককে বলেন, কুয়াকাটায় সর্বমোট ১৬০টি আবাসিক হোটেল-মোটেল রয়েছে, যার মধ্যে অধিকাংশই আগামী তিন দিনের ছুটি উপলক্ষে অগ্রীম বুকিং হয়ে গেছে।


কুয়াকাটা পৌর মেয়র মো: আনোয়ার হাওলাদার গনমাধ্যমকে জানান, কুয়াকাটায় পর্যটক প্রতিনিয়তই বাড়ছে, বছরের এ সময়টাতে সমুদ্র সৈকত থেকে ট্যুরিস্ট পুলিশ স্টেশন পর্যন্ত যানবহন ও পর্যটকের ভীড়ে রাস্তা খাকে ঠাসাঠাসি,  যা একটা বিñৃঙ্খলা পরিবেশের সৃষ্টি হয়। তাই জনবহুল এ জনপদে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে ট্রাফিক পুলিশ স্থাপনের জোড় দাবী জানান তিনি। 


কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট জোনের সহকারি পুলিশ সুপার আ: খালেক সাংবাদিকর্দে বলেন, টানা তিন দিনের ছুটিতে কয়াকাটায় বিপুল সংখ্যক পর্যটকের সমাগম ঘটেছে, সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের। তবুও আমরা সকল পর্যটকের সবধরনের নিরাপত্তা দিতে বদ্ধ পরিকর। আগত পর্যটকদের স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য ট্যুরিষ্ট পুলিশের পক্ষ থেকে বারংবার সতর্কতামূলক মাইকিং করা হচ্ছে।






Post Top Ad

Responsive Ads Here