![]() |
স্কুলে বোরকা নিষিদ্ধ করার প্রতিবাদে মানববন্ধন | সময় সংবাদ |
আবু সাঈদ শাকিল,নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার সেবারহাট বাজারের শের-ই-বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ছাত্রীদের বোরকা নিষিদ্ধ করার প্রতিবাদে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করা হয়েছে।
সোমবার (২১ মার্চ) সকালে ঘন্টাব্যাপী নোয়াখালী-ফেনী আঞ্চলিক মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা।
এদিকে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মারধর করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এরপর শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে কয়েক দফা বিদ্যালয়ে হামলার চেষ্টা চালায়। খবর পেয়ে বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ফরিদ উদ্দিন, স্থানীয় ইউপি সদস্য মাসুদ ও সেনবাগ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তারা বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির আগামী বৈঠকে এ বিষয়ে একটি স্থায়ী সমাধানের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেয়।
জানা গেছে, গত ১২ মার্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হোসেন বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ছাত্রীদের বোরকা পরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে একটি বিজ্ঞপ্তি দেন। ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, কোনো ছাত্রী বোরকা পরে বিদ্যালয়ে এলেও ক্যাম্পাসে ঢোকার পর বোরকা খুলে ফেলতে হবে। অভিভাবক ও স্থানীয়দের চাপে পরদিন এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলেও শ্রেণিকক্ষে সহকারী শিক্ষকরা বোরকা পরা ছাত্রীদের সাথে খারাপ আচারণ করে এবং বোরকা ছাড়া শ্রেণিকক্ষে আসার জন্য চাপ দেয়।
ওই বিজ্ঞপ্তির প্রতিবাদে বিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা বিদ্যালয়সংলগ্ন ফেনী-নোয়াখালী জাতীয় মহাসড়কের পাশে মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনের সময় বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হারাধন চন্দ্র দাশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে মারধর করে তাদের কাছ থেকে ব্যানার ছিনিয়ে নেন। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা ক্ষুব্ধ হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে বিদ্যালয়ে হামলার চেষ্টা চালান। এ সময় তারা প্রায় আধা ঘণ্টা ফেনী-নোয়াখালী মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলেও মুঠোফোনে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকে পাওয়া যায়নি। সহকারী প্রধান শিক্ষকের মোবাইলেও একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তিনি কল ধরেননি।