পাহাড়ের অবৈধ অস্ত্র, খুন ও চাঁদাবাজীর পথ পরিহার
করে শান্তি ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুন
-মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি
![]() |
রাঙ্গামাটিতে আওয়ামীলীগের তৃণমূল প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত | সময় সংবাদ |
মহুয়া জান্নাত মনি, রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি:
পাহাড়ের যারা বিভিন্ন আ লিক সংগঠনের নামে অবৈধ অস্ত্র দিয়ে সন্ত্রাস, খুন ও চাঁদাবাজী করছে তাদের অস্ত্রের পথ পরিহার করে শান্তি ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। পাহাড়ের শান্তি আনায়নে সরকারের সাথে শান্তি চুক্তি করে অন্য দিকে অস্ত্র রেখে দিয়ে সরকারের সাথে ধোকা দেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সোমবার (২১ মার্চ) দুপুরে রাঙ্গামাটি ক্ষুদ্র নৃ-তাত্তি¡ক জনগোষ্ঠীর ইনস্টিটিউটে রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের এ তৃণমূল প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, চাঁদাবাজি করে আদিপত্য বিস্তার করছেন, এটা কোন জীবন হতে পারে না। আওয়ামী লীগ সরকার শান্তিচুক্তি করেছিলো পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করার জন্য। তাই পাহাড়ে শান্তি আনায়নের জন্য অস্ত্র পরিহার করা না হলে পার্বত্য অ লে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে জোড়ালো অভিযান শুরু করে সন্ত্রাসীদের নিশ্চিন্ন করা হবে বলেও হুশিয়ারী দেন তিনি।
রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি এর সভাপতিত্বে এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মুছা মাতব্বরের স ালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, তৃণমুল প্রতিনিধি সম্মেলনে জাতীয় সংসদের হুইফ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট মোঃ সিরাজুল মোস্তফা, মহিলা সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনুসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এমপি মাহবুবউল আলম হানিফ আরো বলেন, জিয়াউর রহমানের হাতেই পাহাড়ে অশান্তির বীজ বপন হয়েছিলো। তার হাত ধরে পাহাড়ি বাঙালিদের মধ্যে সংঘাত সৃষ্টি হয়েছে, এই পাহাড় এলাকায় অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিলো। তারই ধারাবাহিকতায় তারা (বিএনপি) এখনো চক্রান্ত করে যাচ্ছে, এখনো সক্রিয় আছে। অস্ত্রের মাধ্যমে কখনো শান্তি আসে না। যারা এখনো বিপথে রয়েছেন, তারা শান্তির পথে আসুন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শান্তিচুক্তির সুফল ঘরে তুলুন।
সম্মেলনে রাঙ্গামাটি ১০ উপজলার ৫০টি ইউনিয়ন তৃণমুল প্রতিনিধিরা অংশ গ্রহণ করেন। তৃণমুল প্রতিনিধি সভায় আগামী ২৪ মে রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের ঘোষণা দেয়া হয় এবং এর মধ্যে মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটিগুলো ভেঙ্গে দিয়ে নতুন কমিটির করার নির্দেশ প্রদান করেন তিনি।