ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুরে স্ত্রীর সাথে পরকীয়ার জেরে এসিড নিক্ষেপ করে রানা (৩৫) নামের এক যুবকের মুখমন্ডল ঝলসে দিয়েছে নিজের বন্ধু। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় শনিবার রাত ১০ টায়।
শনিবার (২ এপ্রিল) দিনগত রাতে জেলা শহরের গুহলক্ষ্মীপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসিড আক্রান্ত রানা শহরের মধ্য আলীপুর এলাকার আব্দুর রবের ছেলে। এসিড নিক্ষেপের অভিযোগ উঠা রিপন জেলা শহরের গুহলক্ষ্মীপুর এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে।
জানা যায়, স্ত্রীর সাথে পরকীয়ার জের ধরে বন্ধু রিপন মোবাইল ফোনে ডেকে অতর্কিতভাবে রানার মুখমন্ডলে এসিড ছুড়ে মারে। এসময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
এদিকে অ্যাসিডে ঝলসানো মুখ নিয়েই হাসপাতাল থেকে পালিয়েছেন রানা সেখ।রোববার দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান তিনি। হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. রতন সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অ্যাসিড নিক্ষেপে আহত রানা চক্ষুর অন্তরালে ফাইলপত্র নিয়ে হাসপাতাল থেকে কৌশলে পালিয়ে গেছে। রোববার দুপুর দেড়টা থেকে তাকে আর বেডে পাওয়া যায়নি।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার জানান, রানা ও রিপন দুজন সম্পর্কে বন্ধু। দুইজনের নামে মাদকসহ একাধিক মামলাও রয়েছে। কিছুদিন আগেও দুজনে একসঙ্গে জেলা কারাগারে ছিলেন। রানা আগে জামিন পান। রিপনের স্ত্রীর সঙ্গে রানার পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। রিপন জেল থেকে জামিনে এসে তার স্ত্রীর সঙ্গে বন্ধু রানার পরকীয়ার সম্পর্কের বিষয়টি জানতে পারে। একএরপর রানাকে ডেকে এনে তার মুখমণ্ডলে অ্যাসিড ছুড়ে মারেন বন্ধু রিপন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এ নিয়ে রানার পরিবারের লোকজন থানায় এসেছিলেন। আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার জানান, রানা ও রিপন দুজন সম্পর্কে বন্ধু। দুইজনের নামে মাদকসহ একাধিক মামলাও রয়েছে। কিছুদিন আগেও দুজনে একসঙ্গে জেলা কারাগারে ছিলেন। রানা আগে জামিন পান। রিপনের স্ত্রীর সঙ্গে রানার পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। রিপন জেল থেকে জামিনে এসে তার স্ত্রীর সঙ্গে বন্ধু রানার পরকীয়ার সম্পর্কের বিষয়টি জানতে পারে। একএরপর রানাকে ডেকে এনে তার মুখমণ্ডলে অ্যাসিড ছুড়ে মারেন বন্ধু রিপন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এ নিয়ে রানার পরিবারের লোকজন থানায় এসেছিলেন। আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।