![]() |
সময় সংবাদ |
হাসানুর রহমান,ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
সম্প্রতিকালে সরকারি আইন প্রয়োগ করতে গিয়ে অসহায় ইজিবাইক চালকদের প্রতি অমানবিক অত্যাচার করা হচ্ছে বলে জানা যায়। ঘটনার সত্যতা মিলেছে ইজিবাইক চালক ও হাইওয়ে পুলিশের সাথে কথা বলে। পুলিশ বলছে আইন প্রয়োগ করতে প্রতিদিন ০৭ টি করে ইজিবাইক আটক করার আদেশ আছে তাদের। কিন্তু স্থানীয় প্রভাশালীদের সুপারিশে কিছু ইজিবাইক ছাড়তে হয়।
যেকারণে সংখ্যার তুলনায় ২৫-৩০টিরও বেশি গাড়ি আটক করে। ইজিবাইক চালকেরা বলছেন গাড়ি আটকের পর চুক্তিভিত্তিক চাঁদা না দিলে মামলা দেওয়া হয়। ইজিবাইক চালকদের অভিযোগের শেষ নেই। হাইওয়ে পুলিশের সাথে মাসিক চুক্তিতে না আসলেই গাড়ি আটক করেন তারা। আবার গাড়ি আটকের পর কেসের থেকে বাঁচতে হাইওয়ে পুলিশের স্বঘোষিত নিয়োগপ্রাপ্ত দালালের দিতে হয় ১০০০ - ১৫০০ টাকা। তাদের আহাজারি আর বিক্ষোভ যেন মূল্যহীন। অনেকে সারাদিন ইজিবাইক চালিয়ে দিনে আয় করেন ৭০০/৮০০ টাকা কিন্তু পুলিশের মামলায় দিতে হয় ২৫৮০টাকা। ইজিবাইক চালকরা বলছেন সরকার আইন পাস করে মহাসড়কে থ্রি-হুইলার নিষিদ্ধ করেছেন কিন্তু পুলিশ অন্যান্য থ্রি-হুইলারের বিরুদ্ধে কেন ব্যাবস্থা না নিয়ে শুধুমাত্র ইজিবাইকের পিছনে পড়ে আছেন। অন্যান্য থ্রি-হুইলারগুলো মাসিক চুক্তিতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে মহাসড়কে।
পজ মেশিনে মামলা না করে চাঁদা নেওয়ায় ক্ষিপ্ত জনতার সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে হতাহতের ঘটনাও ঘটতে দেখা গিয়েছে। এমন ঘটনায় গত ২৯ মার্চ ২০২২ইং তারিখে জনসাধারণের সাথে সংঘর্ষে ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়।পরে ঝিনাইদহ থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা। সুশীল সমাজ বলছেন এরূপ ঘটনার কারনে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি হচ্ছে। পজ মেশিনে মামলা না দিয়ে চাঁদা আদায়, মাস চুক্তিতে অবৈধ লেনদেন,দালাল নিয়োগ দিয়ে সুপারিশ বানিজ্য সহ সকল অভিযোগের সত্যতা মিললেও সকল অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবী করেন ঝিনাইদহ হাইওয়ে থানা পুলিশের ইনচার্জ শাহাবুদ্দিন চৌধুরী।