চরভদ্রাসনে বালুবাহী লড়ী গাড়ী রাস্তাঘাট ধ্বংস করে দিচ্ছে | সময় সংবাদ - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

সোমবার, জুন ২০, ২০২২

চরভদ্রাসনে বালুবাহী লড়ী গাড়ী রাস্তাঘাট ধ্বংস করে দিচ্ছে | সময় সংবাদ

চরভদ্রাসনে বালুবাহী লড়ী গাড়ী রাস্তাঘাট ধ্বংস করে দিচ্ছে | সময় সংবাদ


প্রতিনিধি চরভদ্রাসন,সময় সংবাদ:

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলায় সম্প্রতী বালুবাহী বড় চাকা বিশিষ্ট লড়ী ও ট্রলি গাড়ী চলাচল করে ধ্বংস করে দিচ্ছে জনগুরুত্বপূর্ণ কিছু পাকা ও ইটের রাস্তা।


 উপজেলার গ্রামগঞ্জের নিভৃত পল্লিতে গড়া পাকা ও ইটের রাস্তার উপর দিয়ে অতিরিক্ত বালু বোঝাই লড়ী গাড়ীর চাকায় পিষ্ট হয়ে বড় বড় খানাখন্দ সুষ্টি হয়ে যান চলাচল অযোগ্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে। গাজীরটেক ইউনিয়নের চরসর্বান্দিয়া গ্রামের পাকা রাস্তার মোড় এলাকা থেকে টিলারচর গ্রাম ও রপ্তেরচর নামক গ্রামে সংযোগকারী প্রায় দেড় কি.মি. ইটের রাস্তা। এ ছাড়া সম্প্রতী ওই ইউনিয়নের বেপারী ডাঙ্গী গ্রাম থেকে পাটাদার ডাঙ্গী গ্রাম হয়ে ইন্তাজ মোল্যার ডাঙ্গী গ্রাম এলাকা পর্যন্ত প্রায় ৩ কি.মি. পাকা রাস্তা বালুবাহী অবৈধ লড়ী গাড়ী চলাচল করে জনযাতায়াত অচল করে দিয়েছে বলেও স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছেন।



উপজেলার পদ্মা নদী ড্রেজিংকৃত বালু স্তুপ থেকে পাচারকারী চক্র দিনরাত অবৈধ লড়ী গাড়ীতে বালু সরবরাহ করে বাণিজ্য করে চলেছেন। এসব বালুবাহী লড়ি চলাচলের কারণে সরকারের শত কোটি টাকার উন্নয়ন অবকাঠামো ধ্বংস হচ্ছে বলে এলাকার অনেকেই অভিযোগ করে চলেছেন। উপজেলার ইন্তাজ মোল্যার ডাঙ্গী গ্রামে ও আরজখার ডাঙ্গী গ্রামের নদী পাড়ের বিস্তৃর্ণ মাঠের উপর দিয়ে পদ্মা নদী ড্রেজিংকৃত বালুস্তুপ থেকে স্থানীয় জুলহাস শিকদার (৫০), ওবায়দুল বারী দীপু খান (৫৫), রুবেল হোসেন (৪০) ও রাজু আহাম্মেদ (৪৫) সহ একদল পাচারকারী চক্র দিনরাত ১০/১২ খানা লড়ী গাড়ীযোগে বালু সরবরাহ করে চলেছেন। এসব বালু সরবরাহকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় এলাকার অনেকেই তাদের এ ধ্বংসযজ্ঞ কাজের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে পারছেন না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। 



এ ব্যপারে রোববার চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, “ গ্রাম গঞ্জের ছোট ছোট রাস্তা দিয়ে বালুবাহী লড়ি গাড়ী চলাচল করার ব্যাপারে বার বার নিষেধ করা হয়েছে। এমনকি বালু ব্যবসায়ীদের উপজেলায় ডেকে এনে তাদের সাথে মিটিং করে বালুবাহী লড়ি ও ট্রলি গাড়ী চলাচল বন্ধ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারপরও লুকিয়ে লুকিয়ে বালু ব্যাবসায়ীরা লড়ি গাড়ী দিয়ে বালু সরবরাহ করছে বলে শুনছি। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান”। 


গাজিরটেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ইয়াকুব আলী বলেন, “ প্রায় পৌনে এক কোটি টাকা ব্যায়ে ইউনিয়নের টিলারচর গ্রাম ও রপ্তের চর নামক গ্রামে সংযোগকারী প্রায় দেড় কি.মি. ইটের রাস্তাটি বালু টানা লড়ি গাড়ী চলাচল করে গত দু’মাসে স্বমূলে ধ্বংস তরে দিয়েছে। এ ব্যপারে উপজেলা আইন শৃঙ্খলা সভায় বার বার উল্লেখ করেও রাস্তাগুলো রক্ষা করতে পারি নাই”। 


একই দিন বালু পাচারকারী চক্রের মধ্যে জুলহাস শিকদার (৫০) জানায়, “ ভাই, এক বছর আগে অনেক টাকা দিয়ে পদ্মা ড্রেজিং বালু স্তুপ টেন্ডার নিয়েছি। এখন রাস্তা ধ্বংস হয়ে গেলে আমরা কি করুম”। 


আরেক বালু সরবরাহকারী ওবায়দুল বারী দীপু বলেন, “ শুধু আমাদের বালুবাহী লড়ি গাড়ীতে রাস্তাগুলো বিনষ্ট হয় নাই, পদ্মা রক্ষা বাঁধ নির্মান কাজের পাথরবাহী ট্রাকেও রাস্তা ধ্বংস করেছে”। 


Post Top Ad

Responsive Ads Here