নোয়াখালীতে বিএনপি-আওয়ামীলীগ-পুলিশের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া | সময় সংবাদ
আবু সাঈদ শাকিল,নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীতে বিএনপির নেতা-কর্মী ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও ছত্রভঙ্গ করতে ৮ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ব্যাবহার করে।
এসময় পুলিশের গাড়ি লক্ষ করে ইটপাটকেল ছুঁড়লে পুলিশের ৮ সদস্যসহ ১১ জন আহত হয়। এ ঘটনায় অন্তত ৩৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) বিকেল ৫ টায় জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিকেলে জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ের সামনে বিএনপির দেশব্যাপী চলমান বিক্ষোভের প্রতিবাদে সমাবেশ করছিলো আওয়ামী লীগ। এসময় বিএনপির একটি মিছিল বড় মসজিদ মোড় হয়ে প্রেসক্লাবে বিএনপি আয়োজিত সমাবেশস্থলে আসার সময় আওয়ামীলীগের সমাবেশ ও পুলিশকে লক্ষ করে ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনার ঘটে। বিএনপি নেতা কর্মীদের ছোঁড়া ইটের আঘাতে পুলিশের ৮ সদস্যসহ অন্তত ১১ জন আহত হয় ও সুধারাম থানার ওসির গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি)শহীদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আটককৃতদের সম্পর্কে যাচাই বাচাই চলছে। এ ঘটনায় আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পরবর্তীতে বিস্তারিত জানানো হবে।
এর আগে গতকাল (২২ আগস্ট) নোয়াখালীর সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ পাঁচ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে গ্রেফতারকৃত আসামিদের নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, নোয়াখালী সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইমাম হেসনে রায়হান, দাদপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি মাজেদুল করিম মুন্না , ২০নং আন্ডারচর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি প্রার্থী ডাক্তার মাইন উদ্দিন, ১১নং নেয়াজপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্য অলি উল্যাহ রিপন।