কুয়াকাটায় নিয়মিত মোবাইল কোর্টের প্রতিবাদে হোটেল-রেস্তোরাঁ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ | সময় সংবাদ - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

বুধবার, আগস্ট ১৭, ২০২২

কুয়াকাটায় নিয়মিত মোবাইল কোর্টের প্রতিবাদে হোটেল-রেস্তোরাঁ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ | সময় সংবাদ

কুয়াকাটায় নিয়মিত মোবাইল কোর্টের প্রতিবাদে হোটেল-রেস্তোরাঁ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ | সময় সংবাদ


রাসেল কবির মুরাদ , কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি:

কুয়াকাটায় অনির্দ্দিষ্টকালের জন্য খাবার হোটেলে বারবার মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় প্রতিবাদে খাবার হোটেল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন কুয়াকাটা খাবার হোটেল-রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। মঙ্গলবার রাত ১১টায় কুয়াকাটা খাবার হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি সেলিম মুন্সি এ ঘোষণা দেন।


স্থানীয়সূত্রে জানা যায়, কুয়াকাটায় হঠাৎ খাবার হোটেল বন্ধ করায় বিপাকে পড়েছে আগত পর্যটকরা, খাবার হোটেল বন্ধ থাকায় পর্যটকরা ৫ কিলোমিটার দূরত্বে মৎস্যবন্দর আলীপুরে ভিড় জমায়। পূর্ব প্রস্তুতি  না থাকায় আলীপুরের খাবার হোটেলগুলো আগত পর্যটকদের পর্যাপ্ত খাবার সরবরাহ করতে পারেনি। 


মৎস্য বন্দর আলীপুরে খাবার হোটেলে খেতে আসা পর্যটক জহির উদ্দিন বলেন, বুধবার সকালে নাস্তা  খাবার জন্য বের হয়ে দেখি কুয়াকাটার সবগুলো হোটেল বন্ধ। শেষপর্যন্ত অনুপায় হয়ে ৫ কিলোমিটার দূরত্বে খেতে এসেছি। কিন্তু এখানে ছোট্ট হোটেলে প্রচুর ভিড়, হোটেল কর্তৃপক্ষ ঠিকভাবে খাবার সরবরাহ করতে পারছেননা। হঠাৎ এভাবে খাবার হোটেল বন্ধ করায় কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা সকল পর্যটকরা মহা বিপাকে পড়েছে।


কুয়াকাটা খাবার হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কলিমুল্লাহ বলেন, আমরা কুয়াকাটায় আগত পর্যটকদের সেবা দেয়ার মানসিকতা নিয়ে ব্যবসা করছি। মহামারি দূর্যোগ করোনা ভাইরাসের সময় কুয়াকাটায় যখন পর্যটক কম ছিল তখনও কিন্তু আমরা হোটেল খোলা রেখেছি পর্যটকদের সেবা দেওয়ার জন্য। তখন আমাদের লোকসান হয়েছে। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর কুয়াকাটায় এখন আবার প্রচুর  পর্যটক আসতে শুরু করেছে আমরাও নতুন করে ব্যবসায় আলোর মুখ দেখছি, সকল ক্ষতি পুষিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি,  ঠিক তখনই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার নামে আমাদের প্রতিনিয়ত হয়রানি করছে প্রশাসন। তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই আমরা খাবার হোটেল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।


খাবার হোটেল মালিক সমিতির সহ-সভাপতি আলমগীর হোসেন বলেন, প্রতিদিন নির্বাহী মাজিস্ট্রেট কর্তৃক খাবার হেটেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে। কিন্তু একই হোটেলে একাধিকবার জরিমানা করা হয়। মোবাইল কোর্টের নামে আমাদের হয়রানি করা হচ্ছে। তাই সকল হোটেল মালিক একত্রিত হয়ে আমরা এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি।


খাবার হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি মো: সেলিম আহমেদ বলেন, ১১ আগস্ট আল-মদিনা নামের একটি হোটেলে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তখন ওই হোটেল মালিক তার সমস্যা সমাধানের জন্য ১৫দিন সময় নেয়। কিন্তু মঙ্গলবার আবার ওই হোটেলেই ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। হোটেল মালিক জরিমানা না দিতে পারায় তাঁকে  কিছুসময় আটক করে রাখা হয়। খাবার হোটেল বন্ধে পর্যটকরা বড় ধরনের সমস্যায় পড়বে তা উপলব্ধি করে জেলা প্রশাসন বিষয়টি সহজ করে দেখলে হোটেল খুলে দেওয়া হবে বলে তিনি জানান । 


Post Top Ad

Responsive Ads Here