বগুড়ায় পঁচিশভাগ ধান কাটা শেষ হলেও দামের প্রভাব পড়েনি চালের বাজারে - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

রবিবার, নভেম্বর ১২, ২০২৩

বগুড়ায় পঁচিশভাগ ধান কাটা শেষ হলেও দামের প্রভাব পড়েনি চালের বাজারে

 

বগুড়ায় পঁচিশভাগ ধান কাটা শেষ হলেও দামের প্রভাব পড়েনি চালের বাজারে

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি:

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় নতুন আমন ধানের কাটা-মাড়াই শুরু হয়েছে। নতুন ধান বিক্রি শুরু হলেও দামের প্রভাব পড়েনি চালের বাজারে। কারন হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, নতুন চাল বাজারে এখনো পুরোদমে আসেনি। তাই পুরোনো চাল বিক্রি হচ্ছে আগের দরেই। তবে নতুন ধান ওঠায় চালের দাম রয়েছে স্থিতাবস্থায়। এদিকে কৃষি বিভাগের মতে, পুরোদমে না হলেও শনিবার পর্যন্ত মোট আবাদের তিন হাজার হেক্টর জমির ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে। 


উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মিঠু চন্দ্র অধিকারী বলেন, উপজেলায় এবার রোপা আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১২ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৯ হাজার ৪৬ মেট্রিক টন চাল। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার ধান আবাদের কাঙ্কিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়েছে। জমিতে থাকা পাকা ধান গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২৫ শতাংশ কর্তন হয়েছে।

 

শনিবার উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম, বিহিগ্রাম ও উথরাইলসহ বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, মাঠভরা আমন ধানের আবাদ। কোথাও পুরো মাঠ ছেয়ে রয়েছে সোনালি রঙে, আবার কোথাও মাঠজুড়ে কাঁচা-পাকা ধান। মাঠে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে কৃষকেরা শুরু করেছেন ধান কাটা। অনেকে ধান কেটে শুকানোর জন্য ফেলে রেখেছেন মাঠে। আবার অনেকে বহন করে নিয়ে যাচ্ছেন বাড়িতে। এ সময় ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়নের বড়আখিড়া গ্রামের কৃষক মামুন হোসেন জানান, ‘এবার আমন ধানের আবাদ করেছেন আট বিঘা জমিতে। পাঁচ বিঘা জমির আগাম জাতের ধান কেটে মাড়াই করার জন্য বাড়িতে এনেছেন। অনেকে ধান মাড়াই করে বাজারে বিক্রি করেছেন ১ হাজার ৫০ টাকা মণ (৪০ কেজি) দরে। সেখানে পুরোনো ধান বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৩০০ টাকা দরে। নতুন ধান বাজারে এলেও চালের দামে তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি বলে জানান তিনি।’ 


সান্তাহার ইউপির কায়েতপাড়া গ্রামের কৃষক রায়হান সরদার বলেন, এবার আবহাওয়া ভালো থাকায় আশানুরূপ ফলন পাওয়ার আশা করছি। কিন্তু শ্রমিকের মজুরি বেড়ে যাওয়ায় কৃষকের তেমন লাভ থাকছে না।

 

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার আমতলী থেকে সান্তাহারে আসা কৃষিশ্রমিক রমজান আলী বলেন, ‘আমরা ১০ জন একত্রে গত ১০ দিন ধরে ধান কাটার কাজ করছি। প্রতিদিন আমরা অন্তত ছয় বিঘা জমির ধান কাটতে পারি। প্রতি বিঘা জমির ধান কাটা এবং বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া বাবদ মজুরি তিন হাজার টাকা করে নিচ্ছি’। 


উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের পুরাতন বাজারের চাল ব্যবসায়ী আতোয়ার হোসেন বলেন, ‘বর্তমানে পুরাতন মোটা চাল ৫১ টাকা এবং চিকন চাল ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রায় ১৫ দিন ধরে চালের বাজার এমনটাই চলছে। বাজারে নতুন ধানের চাল সরবরাহ তেমন একটা আসেনি। অল্প কিছু নতুন মোটা চাল পেয়েছি তা বিক্রি করছি প্রতি কেজি ৪৬টাকা কেজি দরে। নতুন চাল পুরোদমে বাজারে না আসা পর্যন্ত আশানুরূপ দাম কমার কোনো সম্ভাবনা দেখছি না। তবে নতুন ধান কাটা-মাড়াই শুরু হওয়ায় চালের বাজার স্থিতাবস্থায় আছে।’ 


Post Top Ad

Responsive Ads Here